ফিটনেস টেস্ট দিয়ে রোববার থেকে শুরু হল বাংলাদেশ দলের নতুন মিশনের প্রস্তুতি পর্ব। আবারো প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠল মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। শুরু হল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রস্তুতি। শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে অনেকেই ছিলেন ছুটিতে। এবার ছুটি শেষে ফিরলেন ক্রিকেটাররা।
প্রথম দিনই ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের কাছে পরীক্ষা দিতে হল। ছুটির পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসে খুশি তিনি। তার বড় প্রাপ্তি বলে মনে হয়েছে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের ফিটনেস নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো।
প্রথমদিন সকালে ট্রেনার মারিও শিষ্যদের আগে ফিটনেস পরখ করেন। ক্রিকেটার যে নিজেদের ফিটনেস নিয়ে সচেতন, তা এবারই বেশি দেখা গেছে হোম অব ক্রিকেটে। ক্যাম্প শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই তামিম ইকবাল-সাব্বির রহমানরা নিজ উদ্যোগে মিরপুরের জিমে এসেছেন। চার বছর আগে ট্রেনারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় যেমন মানসিকতা দেখেছিলেন ক্রিকেটারদের, এখন সেখানে পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন তিনি। বলেন, ‘একটা বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। সকালেই আমি ছেলেদের বলছিলাম, চার বছর হয়ে গেল। ২০১৪ সালের মে মাসে এসেছিলাম। দারুণ চারটি বছর কাটল। অনেক বদল এসেছে। এবারই যেমন কলম্বোতে ছুটি কাটানোর সময় আমি জানতে পারলাম, তামিম নিজের তাগিদেই ফিটনেস ট্রেনিং করছে। আরও অনেকেই নিজে থেকে করছে। এসব আমাকে দারুণ তৃপ্তি দিয়েছে।’
ক্রিকেটারের মানসিকতা পরিবর্তন করানো সহজ নয়। শেষ পর্যন্ত শিষ্যদের এটা করতে পারায় দারুণ খুশি মারিও। জানালেন, ‘শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। ওদেরকে বোঝাতে হয়েছে কেন এটা ভীষণ জরুরি। সেই পরিশ্রমের ফল মিলতে শুরু করেছে। সবাই এখন অনেক সচেতন। আমি তো আজীবন এখানে থাকব না। তবে আশা করি, আমি যাওয়ার পরও ওরা এমনই থাকবে।’
এই প্রস্তুতি পর্ব শেষে আগামী ২৯ মে ভারতে যাবে জাতীয় দল। সেখানে আফগানদের সঙ্গে খেলবে টি-টুয়েন্টি সিরিজ। তারপর দেশে ফিরে বিশ্রামের সুযোগ নেই। দল উড়াল দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
Discussion about this post