চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে টেস্টে ফিরল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। সিলেটের মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশের শুরুটা হয় প্রতিকূলভাবে। মাত্র ৩২ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে প্রথম সেশনের শেষভাগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কিছুটা স্বস্তি পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশ প্রথম সেশনে ২৪ ওভারে তুলেছে ২ উইকেটে ৮৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০, মুমিনুল হক ২১ রানে ব্যাট করছেন।
ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীরস্থির, তবে সেটি বেশি দূর এগোয়নি। চতুর্থ ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন জয়, কিন্তু আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান। জীবন পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ভিক্টর নিয়াউচির গতিময় বলে তিনি বিদায় নেন ১৪ রানে।
এর আগে ১২ রানে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম, যিনি খেলেছেন জাকির হাসানের বদলে। তিনিও পরাস্ত হন নিয়াউচির বলেই।
দুই ওপেনার ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। সেশনের বাকি সময়ে তারা বোলারদের বিপক্ষে ধৈর্য ধরে খেলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। জিম্বাবুয়ের পেসাররা শুরু থেকেই ছিলেন লাইন ও লেংথে নিখুঁত। বিশেষ করে ভিক্টর নিয়াউচি ও ব্লেসিং মুজারাবানি বাংলাদেশ টপ অর্ডারকে ভোগান গতি আর সুইং দিয়ে। নিয়াউচি নেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
জিম্বাবুয়ে একাদশ : ক্রেইগ আরবাইন, ওয়েসলি মাধভেয়ার, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, বেন কারান, নিকোলাস রয় ওয়েলশ, নিয়াশা মায়াবো, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাবা ও ভিক্টর নিয়াউচি।
Discussion about this post