সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুর দিনে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হারতে হল বাংলাদেশকে। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শনিবার হাজার বিশেক দর্শকের সামনে নাকালই হলেন এমিলি-ওয়াহেদরা।
প্রথমার্ধে যা করে নেওয়ার তাই করেছে গোর্খালিরা। দুটি গোলই হয়েছে এ অর্ধে। যদিও গোলের পেছনে নেপালিদের যতটা অবদান, তার চেয়ে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের কম নয়। বিশেষ করে আশরাফ মাহমুদ লিংকন। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের যে মার্কিংয়ে রাখতে হয়, তা যেন ভুলেই গিয়েছিল লাল-সবুজরা। সুযোগ পেয়ে তাই কাজে লাগাতে ভুল হয়নি স্বাগতিকদের।
এমনিতেই এই গ্রুপকে মৃত্যুকূপ বলা হচ্ছিল। উদ্বোধনী ম্যাচটি ছিল দু’দলের কাছে অনেকটা ফাইনালের মতো। প্রথম জিততে পারলে সামনের দিকে এগোনো সহজ হবে। নেপাল স্বাগতিক দল হিসেবে যতটা না নির্ভার হয়ে খেলেছে ততটা চাপ নিয়ে খেলতে দেখা গেছে ডি ক্রুইফের শিষ্যদের।
শুধু পাসিং ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি দলটির মধ্যে। নিচ থেকে বিল্ড হচ্ছিল। কিন্তু মধ্যমাঠ পেরোতে না পেরোতে দিক-নির্দেশনাহীন এক দল। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের অভাব অনুভূত হয়েছে। তিনি থাকলে হয়তো আক্রমণের একাধিক উত্স তৈরি হতো। ডাচ কোচ একসঙ্গে একাধিক খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। ডেনমার্কপ্রবাসী জামাল ভূঁইয়া, ওয়াহেদ, মোবারক ও রায়হানের অভিষেক হয়েছে। তারপরও যা প্রত্যাশিত, তা হয়নি। সাইডলাইনে দাঁড়ানো কোচকে বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত লাগছিল। শুরু থেকে নেপাল চাপিয়ে খেলতে শুরু করে। ১৮ মিনিটে গোলও করতে সক্ষম হয়। বাম প্রান্তের ক্রসে স্ট্রাইকার অনিল গুরুং বক্সের ভেতরে লাফিয়ে উঠে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন। বল সাইডবারে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ডিফেন্ডার লিংকন ছিলেন অনিলের সঙ্গে। কিন্তু তিনি কি বলের গতি বুঝতে পারেননি, নাকি অনিল তাকে কৌশলে ফাঁকি দিয়েছেন-তা বোঝা ভার! কড়া মার্কিংয়ে রাখলে গোল নাও হতে পারত।
বল পজিশনে স্বাগতিকরা অনেক এগিয়ে। ৩১ মিনিটে ২-০। কর্নার থেকে হেড, তারপর বল ঘুরে আসে ভারতের পায়ে, দেরি করেননি। প্লেসিং শটে গোলকিপার মামুন খানকে হারিয়ে দেন। হতাশা বাংলাদেশ শিবিরে। এখানেও ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতা। একাধিক খেলোয়াড় ছিলেন অরক্ষিত। তাই স্বাগতিকদের পক্ষে গোল করতে সময় লাগেনি।
Discussion about this post