গল্পটা যেন রুপালি পর্দার। জন্ম বস্তিতে। এরপর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই মানুষটিই হয়ে উঠেছেন সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। যাকে বলে কুড়েঘর থেকে রাজপ্রাসাদে উঠে আসা!
তিনি ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা ব্ল্যাঙ্কো। ৩০ অক্টোবর এই কিংবদন্তি ফুটবলারের ৫৫তম জন্মদিন। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশের লানুস শহরের জন্ম এই তারকার।
১০ বছর বয়সে এস্ত্রেয়া রোজার হয়ে খেলার সময় এক ফুটবল স্কাউটের নজরে পড়েন। তারই সহায়তায় আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের যুব দলের নাম লেখান। তবে আলোচনায় আসেন বছর দুয়েক পর। ১২ বছর বয়সে বলবয় ম্যারাডোনা মুগ্ধ করেন সবাইকে। খেলার মধ্যবিরতিতে বল নিয়ে তার কারিকুরি চমকে দেয়!
এরপর শুধু এগিয়ে চলার গল্প!
ক্লাব ফুটবলে ম্যারাডোনা খেলেছেন- আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে। আর আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ২৪ ম্যাচে ১৩ গোল ও মূল দলের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দলে অভিষেক!
৪টি ফিফা বিশ্বকাপে খেলেছেন ম্যারাডোনা। তবে স্মরনীয় হয়ে আছে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ। অধিনায়ক হিসেবে অনেকটা একাই ট্রফি এনে দেন দলকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২–১ গোলের জিতে তার দল। আর দুটি গোলই করেন তিনি। যার একটি ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে পরিচিত। পরেরটি প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে ড্রিবলিং করে পাঁচজন ডিফেন্ডারকে জালে পাঠান, যে কীনা দর্শকদের ভোটে শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
তবে বিতর্ক কখনোই পিছু ছাড়েনি তার। ড্রাগ, মেজাজ গরম করা সবই করেছেন। এনিয়ে অনেকেই নিন্দায় মুখর। কিন্তু ম্যারাডোনা একজনই। আজ ফুটবলের এই যে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা, তার কৃতিত্ব অনেকটাই তার।
জয়তু ম্যারাডোনা!
Discussion about this post