তিনি যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সেটা জানা আছে সবারই। কিন্তু সাকিব আল হাসানের প্রশংসা করতে প্রায়ই কার্পণ্য করেন ভক্তরা। এমন কী তার সমালোচনাতেও মুখর থাকতে দেখা যায় অনেককে। সমালোচকদের এমনি এক কাণ্ডে বিদ্ধ হলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের আবির্ভাবের ১১ বছর পূর্তির দিনই তাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বাজে পোস্টে ছেঁয়ে গেল। সংগত কারণেই যা কষ্ঠ দিয়েছে সাকিব পত্নী উম্মে আহমেদ শিশিরকে।
শনিবার একটি ফেসবুক পেইজে পোস্ট হয় এক ছবি। সেখানে দেখা যায়- সাকিব তার কন্যাকে কোলে নিয়ে ও শিশির অন্য একটি চেয়ারে বসে খাচ্ছেন। শিশিরের পেছনের চেয়ারে দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে। সম্ভবত ও সাকিবদের গৃহকর্মী। সেখানো ছবির সাথে লেখা হয়- সাকিব স্ত্রী-কন্যা নিয়ে খাওয়াদাওয়া করছেন অথচ কাজের মেয়েকে খেতে না দিয়ে দাঁড় করে রেখেছেন। এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে ফেসবুকে। সমালোচনায় মাতেন অনেকে।
এ অবস্থায় বসে থাকতে পারলেন না শিশির। সেই পোস্টটি যে সম্পূর্ণ মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা তুলে ধরেন তিনি। পাল্টা তিনি তার ফেসবুক পেইজে এনিয়ে লিখেন। তার পোস্টে দেয়া ছবিতে ভাইরাল হওয়া অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, ঐ মেয়ে পাশে বসেই খাচ্ছেন। পেইজ থেকে যে ছবিটি দেওয়া হয়েছিল সেটি মেয়েটির খাওয়া শেষ হওয়ার পর কিংবা খাওয়া শুরুর আগে।
উম্মে আহমেেদ শিশির লিখেছেন- ‘এটা আসলেই হাস্যকর! সাকিব আল হাসানের জন্য কি একটিও ভালো শব্দ নেই? কেন? সে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে পারে না বলে ‘‘খারাপ লোক’’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়! এখন ঘটনা হলো, আপনারা যদি মানুষ হয়েও তার সম্পর্কে এভাবে হাস্যকর খবর ছড়াতে থাকেন, যেখানে কিনা সত্যিটা জানার উপায় আছে! নিচে কিছু প্রমাণও দিলাম। এসব অর্থহীন খবর নিয়ে মাথা ঘামাই না আমি। এগুলো মানুষকে আনন্দ দেয়। তাছাড়া আমরা জানি আমরা কে, আমরা কী! কিন্তু দয়া করে এমন একজন মানুষকে নিয়ে এসব খবর ছড়াবেন না যে কিনা বিশ্বব্যাপী আপনার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, যে কিনা আপনার দেশের গর্ব হিসেবে পরিচিত। এটা শুনতে আসলেই খুব লজ্জা লাগে যখন ক্রিকেট ফলো করে এমন কোন বিদেশি আমাদেরকে বলে, “তোমাদের নিজের দেশের লোকই তোমাদের প্রতি প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয় না।” নেতিবাচক খবর যথেষ্ট হয়েছে। দয়া করে এবার আপনার পেজকে বুস্ট করানোর মতো অন্যকিছু খুঁজুন। যাহোক, সে (মেয়েটি) আমাদের সাথে খেতে বসার জন্য হাত ধুয়ে ফিরেছিলো মাত্র।’
শিশিরের সেই পোস্টও ভাইরাল হয়ে গেছে। এরইমধ্যে সাড়ে তিনহাজারেরও বেশি শেয়ার আর ৫৫ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে।
Discussion about this post