২০১২, ২০১৬, ২০১৮, ২০২৫-এশিয়া কাপের চারটি আলাদা আসর, চারটি ভিন্ন দল, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন পরিস্থিতি। মিল একটাই, বাংলাদেশের শিরোপা স্বপ্ন লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়েও ভেঙে যায়। মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি থেকে শুরু করে যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলী-সবারই তীরে এসে তরি ডোবার অভিজ্ঞতা। সেই একই বেদনা এবার ভাগ করে নিলেন নারী দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ।
কাতারের ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল সেমিফাইনালে ভারত ‘এ’-কে হারিয়ে দারুণভাবে উঠেছিল ফাইনালে। সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই গড়ায় নাটকীয় সুপার ওভারে। মাত্র ৭ রানের লক্ষ্য হলেও পাকিস্তান ২ বল হাতে রেখেই সেই রান তুলে নেয়। স্বপ্নপূরণের এক কদম দূরে দাঁড়িয়ে আবারও ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের শিরোপা আশা।
পাকিস্তান ‘এ’ দল টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায়। রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ প্রথম ১৪ বলে বিনা উইকেটে ২২ রান। কিন্তু সেই ইনিংসই মুহূর্তে গড়িয়ে যায় বিপর্যয়ের দিকে। ২২/০ থেকে একসময় স্কোরবোর্ডে দেখা যায় ৫৩/৭। এমন অবস্থায় রাকিবুল হাসান ও এস এম মেহেরবের ৩৭ রানের জুটি আবারও আশার আলো জ্বালায়। কিন্তু দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা দাঁড়ায় ৯৬/৯।
শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৭ রান। অসাধারণ লড়াই দেখান টেলএন্ডার আবদুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মন্ডল। এক ওভারে আসে ২০ রান-সাকলাইনের দুটি ছক্কা, রিপনের একটি ছক্কা। বাংলাদেশের লড়াই তখনও চলছিল। নির্ধারিত ওভারে দল থামে ১২৫ রানে, ম্যাচ যায় সুপার ওভারে।
সেই ওভারে ৩ বলে ৬ রান তুলতেই হারাতে হয় দুই উইকেট। মানসিক চাপের সঙ্গে লড়তে লড়তে এখানে হারটাই শেষ পর্যন্ত বড় হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের এই ‘শেষ মুহূর্তের ব্যথা’ নতুন নয়। ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হার, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে দুই দফা মন ভাঙা পরাজয়-সবই যেন মিশে আছে এশিয়া কাপের ইতিহাসে। সেই ধারায় নতুন সংযোজন আকবরদের সুপার ওভার ট্র্যাজেডি।
এশিয়া কাপে পাকিস্তান শাহিনস এখন তিনবারের চ্যাম্পিয়ন-এর মধ্যে দু’বারই তারা বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে (২০১৯ ও ২০২৫)। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দু’বার, আর ভারত ‘এ’ ও আফগানিস্তান ‘এ’ একবার করে জিতেছে শিরোপা।










Discussion about this post