ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টানা দুই হারে বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল রংপুর রেঞ্জার্স। সেখান থেকে বুধবার বের হতে চেয়েছিল দলটি। এজন্য শুরুতে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দারুণ উপলক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। তার নৈপুণ্যেই বড় স্কোর গড়েছিল দলটি। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফের হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে দলটির।
বুধবার জহুর আহমেদ চৌদুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে রংপুর। এ নিয়ে দলটি টানা তিন ম্যাচ জয়ের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত হেয়েছে। এদিন মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ো ফিফটিতে রংপুর ২০ ওভারে তুলেছিল ১৮১ রান। কুমিল্লা জিতে যায় ২ বল বাকি রেখে।
রান তাড়ায় বুধবার কুমিল্লার কোন ব্যাটসম্যান পারেনি ৫০ ছুঁতে। তবে পাঁচ ব্যাটসম্যানের কার্যকারী ঝড়ো ইনিংসে ভর করে দারুণ জয় তুলে নেন দাসুন শানাকার দল।
রংপুরের বিপক্ষে বুধবার শেষ ওভারে কুমিল্লার জিততে দরকার ছিল ১২ রান। সে সময় টম অ্যাবেলের করা প্রথম বলেই ছক্কায় ওড়ান ডাভিড মালান। পরের বলে লেগ বাই থেকে আসে সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে অবশ্য দাসুন শানাকা সীমানায় ধরা পড়ে ফিরেন। ম্যাচ জমে ওঠে আবার। কিন্তু চতুর্থ বলে জরালো শটে চার হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন মালান। তিন ম্যাচে কুমিল্লার এটি দ্বিতীয় জয়।
রংপুরের হয়ে বুধবার শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শাহজাদ। ৮৬ রানের মাথায় এ ওপেনার যখন সানজামুল ইসলামের বলে দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, তখন মাত্র ৮.১ ওভার শেষ হয়েছে। ২৭ বল খেলে সাতটি চার ও চারটি ছয়ে ৬১ রান তোলেন শাহজাদ। ওদিকে নাঈম আগেই আউট হয়ে ফিরেন। সাব্বির রহমানের থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে ৮ রান করেন তিনি। এরপর টমাস অ্যাবেল, লুই গ্রেগরি ও আফগান তারকা মোহাম্মদ নবীর কল্যাণে বড় সংগ্রহ পায় দলটি। ২৫ বলে দুটি চারে ২৫ রান করেন অ্যাবেল। ওদিকে রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ২০ বলে তিনটি চারে ২৬ রান করে আউট হন। তবে ১২ বলে ২১ রান করে বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গ্রেগরি, তবে সেটা হতে দেননি আল-আমিন হোসেন।
২৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন মুজিব-উর-রহমান। একটি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম, সৌম্য সরকার ও আল-আমিন হোসেন।
লক্ষ্য তাড়ায় ভানুকা রাজাপাকসা ও সৌম্য সরকার ৬ ওভারেই কুমিল্লাকে এনে দেন ৬১ রানের দুর্দান্ত শুরু। এরপর রাজাপাকসে ফিরলেও ঝড় অব্যহত রাখেন সৌম্য। এ বাঁহাতি সাব্বিরকে নিয়ে দলের রান ১১.১ ওভারে ৯০ এর ঘরে পৌঁছে ফিরেন। তার আগে তিনি করেন ৩৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪১ রান।
সৌম্য ফিরে গেলে জ্বলে ওঠেন সাব্বির। এক প্রান্ত আগলে এ ডানহাতি খেলেন ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষদিকে মালান অপরাজিত ২৪ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪২ রান করে কুমিল্লাকে জেতান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৮১/৮ (শাহজাদ ৬১, নাঈম ৮, অ্যাবেল ২৫, আল আমিন ১, নবি ২৬, গ্রেগোরি ২১, নাদিফ ১৫, জহুরুল ০, সানি ১৫*, মুস্তাফিজ ১* ; মুজিব ৪-০-২৫-২, আবু হায়দার ৪-০-৩৯-০, সানজামুল ৪-০-৩৮-১, আল আমিন ৪-০-৪৫-১, শানাকা ২-০-১৬-০, সৌম্য ২-০-১৬-১)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৯.৪ ওভারে ১৮২/৪ (রাজাপাকসা ৩২, সৌম্য ৪১, সাব্বির ৪৯, মালান ৪২*, শানাকা ১২, ইয়াসির ০; আল আমিন ১-০-১৭-০, নবি ৪-০-২৫-০, মুকিদুল ৪-০-২৬-১, গ্রেগোরি ৪-০-৫৫-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৫-১, অ্যাবেল ২.৪-০-২১-১)।
ফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : ডেভিড মালান
Discussion about this post