বেশ কিছুদিন ধরে শাস্তিপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা বিভিন্নভাবে জাতীয় দলের কর্মকাণ্ডে বাধাগ্রস্ত করে আসছিল। সর্বশেষ একদিন আগে পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলমকে লাঞ্ছিতসহ নানান নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ফেডারেশন কঠিন শাস্তির দিকে গিয়েছে। মঙ্গলবার ফেডারেশনের জরুরি সভাতে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি রাসেল খান বাপ্পিকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স ১০ বছর, আশিকুজ্জামান, আসাদুজ্জামান চন্দন ও শামসুদ্দিন তুহিন পাঁচ বছরের জন্য হয়েছেন বহিষ্কার। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির বাইরে একজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদ জিমিকে হুমকিদাতা আবাহনীর কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ দোলনকে পাঁচ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে ফেডারেশন। ফেডারেশনের সহসভাপতি আবদুস সাদেক কয়েক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সভা শেষে এমনই শাস্তির ঘোষণা দেন। এরই মধ্যে তারা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে নেন। সেখানে সবাইকে নির্দ্বিধায় বিকেল ৪টায় ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তাদের নিরাপত্তাসহ সব কিছুই দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে অবশ্য সবাই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। অন্যথায় ফেডারেশন একপ্রকার কঠিন শাস্তি নির্ধারণ করে রেখেছিল।
আবদুস সাদেক বলেছেন, ‘ভয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন থেকে না নেতিবাচক কিছু আসে। যেখানে বিদেশি কোচকে হেনস্থা করা হয়েছে। এ কর্মকাণ্ডে আমরা হকি কোচের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।’ জাতীয় দলের ম্যানেজার আবদুর রশীদ সিকদার বলেছেন, ‘খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি একের পর এক অপকর্ম করে গেছে। তারা আসলে হকির উন্নয়ন চায় না। নির্বাচন নিয়ে কলকাঠি নাড়াটাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। হকির কোচের ওপর হামলাসহ নানান অপকর্ম করে গেছে। তাই ফেডারেশন বাধ্য হয়েছে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে।’
ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহর কথা, ‘এশিয়া কাপের পর দলবদল হবে। তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার দিকটা দেখা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখবে। যারা অপকর্ম করেছে তাদের ফেডারেশন শাস্তি দিয়েছে। আমরা এরপর আইনি শাস্তির দিকে যাব। দুয়েক দিনের মধ্যে তা হবে। আর জিমি আমাদের এখানে বলে দোলনের বিপক্ষে মামলা না করে অপেক্ষা করতে, আবার বাইরে গিয়ে অন্য কথা বলছে। আমার প্রশ্ন-রাতের অন্ধকারে কারা টাকা দিয়েছে। হকির উন্নয়নে কারা বাধাগ্রস্ত করছে। তা বের করা উচিত।’
আজীবন শাস্তিপ্রাপ্ত রাসেল খান বাপ্পি বলেছেন, ‘সব সাজানো নাটক। আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল আমাদের নিষিদ্ধ করবে। যদি আমাদের এ শাস্তি দেওয়া হয় তবে দোলনের তো ফাঁসি হওয়া উচিত।’
আরেকজন আরিফুল হক প্রিন্সের ভাষ্য, ‘বাজে উদাহরণ শুরু করেছে খাজা রহমতউল্লাহ। এর খেসারত ভবিষ্যতে দিতে হবে। আমার ক্লাব আমার সঙ্গে আছে। এক অর্থে উইং কমান্ডার রাফি নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছে। টাকার অফারটাও সাজানো নাটক। আমাদের ফাঁসানোর জন্যই এগুলো করা হয়েছে। চার মাস পর বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমি রহমতউল্লাহকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করব।’
Discussion about this post