এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) জয়টাকে রীতিমতো অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা ছিল টানা পঞ্চম জয়ের মিশনে। কিন্তু এবার সমীকরণ ঠিকঠাক মিলল না! লিজেন্ডসের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় তুলেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে দলটি।
সোমবার ফতুল্লায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রূপগঞ্জের। ২৭ রানেই ৩ উইকেট শেষ। এরপর মাঝে রিজওয়ান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শামীম পাটোয়ারী দলকে টানলেও লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারেননি দলকে। ব্যাট হাতে ২১ রান এসেছে মাশরাফির ব্যাট থেকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শামীম।
টস হেরে ব্যাটিয়ে নেমে হতাশ করেন রূপগঞ্জের ওপরের সারির ব্যাটসম্যানরা। সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ ৪১ রান যোগ করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।
৪ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান, আমিনুল ইসলাম, শুভাগত হোমরা থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শামীম। ৮০ বলে ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি ব্যাটার। মাশরাফি করেন ৩১ বলে ২১। ৩টি করে উইকেট নেন মোহামেডানের দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ও আসিফ।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে সোমবার রূপগঞ্জকে ৬ উইকেটে হারায় মোহামেডান। ১৭৯ রানের লক্ষ্য ৫০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পা রাখে তারা।
পাঁচ ম্যাচে মোহামেডানের চতুর্থ জয় এটি। সমান ম্যাচে রূপগঞ্জ পেল প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ।
রনি তালুকদার এদিন করেন অপরাজিত ৯২ রান। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে তিনিই ম্যাচসেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৭.১ ওভারে ১৭৮/১০ (ফারদিন ৮, তৌফিক ৫, ইমরানউজ্জামান ৪, রিজওয়ান ২৫, আমিনুল ২৬, শামীম ৫৯, শুভাগত ১৬, মাশরাফি ২১, শহিদুল ২, হালিম ১, আল আমিন ০*; আবু হায়দার ৮-০-৩৯-১, নাসুম ১০-১-৩০-৩, আসিফ ১০-০-৩০-৩, কামরুল ৮.১-০-৩২-২, আরিফুল ইসলাম ১০-১-৩৮-১, আরিফুল হক ১-০-৬-০)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪১.৪ ওভারে ১৭৯/৪ (ইমরুল ১, রনি ৯২*, প্রান্তিক ২, মাহিদুল ৫৯, আরিফুল ইসলাম ৬, মাহমুদউল্লাহ ৯*; আল আমিন ১০-২-২০-১, শুভাগত ৮-০-৪৮-১, শহিদুল ৮.৪-০-৩৯-০, হালিম ৭-০-২৫-২, মাশরাফি ৩-০-১১-০, আমিনুল ১-০-১৩-০, শামীম ৪-০-২০-০)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: রনি তালুকদার
Discussion about this post