বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন ফরম্যাটে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সেই পথ আর পুরোপুরি এগিয়ে নেননি তিনি। চলতি বছরই টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শান্ত। টেস্ট ও ওয়ানডেতে দায়িত্ব ধরে রেখেছেন ঠিকই, তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেকে শুধুই একজন ব্যাটার হিসেবে দেখতে চান তিনি।
দেশের একটি শীর্ষ দৈনিককে এক সাক্ষাৎকারে শান্ত জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পেছনে মূলত নিজের ব্যাটিংয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার ইচ্ছাই কাজ করেছে। শান্ত বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলাটা খুব ফাস্ট। প্রতি বলে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এর সঙ্গে ব্যাটিং সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। প্র্যাকটিস, ফিল্ডিং, টিম মিটিংয়ের ভিড়ে আমার ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার সময়ই মিলছিল না। ব্যাটিংয়ের যে ছন্দ আমি চাই, সেটা পাচ্ছিলাম না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি নেতৃত্ব ছেড়ে শুধুই ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেব।’
শান্তর এমন সিদ্ধান্তের পেছনে আরও কিছু ব্যক্তিগত ও কাঠামোগত কারণও রয়েছে। তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব চালিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শুরুতে তিনি সব দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার দিকেই এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর টেস্ট ও ওয়ানডের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
শান্ত বলেন, ‘আমি যেভাবে দল চালাতে চেয়েছি, যেভাবে দল গঠন করতে চেয়েছি, সেই স্বাধীনতা অনেক সময় পাইনি। অনেক সিদ্ধান্তে সাফল্য এলে কৃতিত্ব অন্যদিকে গেছে, কিন্তু ব্যর্থ হলে দোষটা এসেছে আমার ঘাড়ে। এমন অবস্থায় থেকে দায়িত্ব পালনের মানে কী?’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার বিষয়েও খোলাখুলি মত দিয়েছেন শান্ত। অধিনায়ক হওয়ার আগেই ছিলেন ‘টার্গেটেড প্লেয়ার’, অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর সেটি আরও বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে সব অভিযোগের পরেও শান্ত মনে করেন, তিনি এখন আরও পরিপক্ব। বোর্ড, নির্বাচকদের সঙ্গে বোঝাপড়াও আগের চেয়ে ভালো। ফলে টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ধরে রাখার মতো মানসিক স্থিতি তৈরি হয়েছে।
আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজের জন্য ঘোষিত সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে শান্তকে রাখা হয়েছে ব্যাটার হিসেবে। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছেন লিটন দাস এবং সহ-অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসান।
Discussion about this post