ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অনেক সুযোগ পেয়েছেন কিছুই যে কাজে লাগাতে পারছিলেন না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তার। ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না নাজমুল হোসেন শান্তর। এবার আর হেলায় হারালেন না সুযোগ। বুধবার ক্যান্ডি টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা পেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ফিগারের।
টেস্টের প্রথমদিন তামিম ইকবাল নার্ভাস ৯০ রানে ফিরলেও তিনি ছিলেন প্রাণচঞ্চল। ঠিকই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় তুলে নিলেন শতক। আর বাংলাদেশও প্রথম ইনিংসে আড়াইশ ছাড়িয়ে বড় স্কোরের পথে।
এর আগে ধীরে-সুস্থে ব্যাটিং করে সঙ্গ দিলেন তামিমকে। গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। আর নিজে হাফসেঞ্চুরি করতে খেলেন ১২০ বল। তামিম আক্ষেপ নিয়ে ফিরলে মুমিনুল হকের সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়েন। আর ২৩৫ বলে শান্ত ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তুলে নেন সেঞ্চুরি। এর আগে ৬টি টেস্ট খেলা শান্তর সর্বোচ্চ রান ছিল ৭১। এবার এক লাফে শতক।
বুধবার সকালে পালেকেল্লে স্টেডিয়ামে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ ০ রানে আউট হওয়ার পর উইকেট তামিমের সঙ্গে জুটি বাধেন শান্ত। ১৪৪ রানের জুট গড়েন। ২০০৯ সালের পর দেশের বাইরে দ্বিতীয় উইকেটে এটিই শতরানের জুটি।
লঙ্কান অফস্পিনার ধনঞ্জয়ার বল কভার ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৯৮ থেকে ১০২ রানে পৌঁছান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্ত। ১২০ বলে তুলেন ফিফটি। সেঞ্চুরি ছুঁতে খেলেন আরও ১১৫ বল। অনে ধৈর্য ধরে খেলেছেন তিনি। এর আগে তামিম ৯০ রানে ফেরেন।
পাল্লেকেলেতে অভিষেক সেঞ্চুরিতে উড়লেন শান্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটের আলো ছড়ালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিলেন ফ্লপ। এনিয়ে সমালোচনায় ছিলেন। নির্বাচকরা রেখেছিলেন আস্থা তিনি এবার সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন।
Discussion about this post