নিউজিল্যান্ডকে দারুণ জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। মমিনুলের পর এবার সোহাগ গাজী। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটাই শনিবার খেলেছেন তিনি। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তুলে নিলেন লড়াকু এক সেঞ্চুরি! তাতেই প্রথম ইনিংসে লিড নিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৫০১ রানে অলআউট হয়ে যায় মুশফিক রহীমের দল। এর আগে নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংসে ৪৬৯ রান তুলে অলআউট হয়েছিল। এর অর্থ ৩২ রান লিড নিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১১৭ রান। ৪৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন পিটার ফুলটন। ২৮ রান নিয়ে অন্য প্রান্তে আছেন কেন উইলিয়ামসন। বৃষ্টির কারনে দিনের খেলা নিদৃষ্ঠ সময়ের আগেই শেষ করে দেন ম্যাচের দুই আম্পায়ার। হামিশ রাদারফোর্ড ৩২ রান করে নাসির হোসেনের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে! ২য় ইনিংসে ৮৫ রান লিড নিল কিউইরা।
চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ৩৮০ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই ফিরে যান আব্দুর রাজ্জাক। এরপর রবিউল ইসলামকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন সোহাগ গাজী। দুই স্পেশালিস্ট বোলার বনে যান তুখোড় ব্যাটসম্যান। নবম উইকেট জুটিতে দুজন তুলেন ১০৫ রান। রবিউল ফিরে যান ৩৩ রানে।
শেষ ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন ৪ রানে ফিরে গেলেও সোহাগ গাজী ১০১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এটিই টেস্টে তার প্রথম সেঞ্চুরি।
এর আগের দিন ১৮১ রানে ফিরে আউট হয়ে যান মমিনুল হক। মুশফিকুরের ব্যাট থেকে আসে ৬৭। নাসির করেন ৪৬। মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর মাঠে নেমে দলকে ৫ উইকেটে ৩০১ রানের মজবুত অবস্থানে রেখে যান মমিনুল। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১৯ রান দুরে থেকে আউট হয়ে যান তিনি। টেস্টে এটি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। গল টেস্টে তিনি করেন ২০০ রান। সেই টেস্টেই মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ রান দ্বিতীয় সেরা।
Discussion about this post