আজকের দিনটি দুঃস্বপ্নের মতো হতে পারতো লিটন দাসের। কারণ আজ ১২ জানুয়ারি, রোববার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ঘোষিত দলে ছিলেন না এই তারকা ক্রিকেটার। এ কারণেই এটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছিল। দিন গড়িয়ে রাত হতেই ব্যাটে জবাব দিলেন লিটন। ওয়ানডে দলে জায়গা হারানোর দিনে বিপিএলে তিনি খেললেন রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি।
চ্যাম্পিয়ন ট্রফির দলে থাকা তানজিদ হাসান তামিমও পেলেন দুর্দান্ত শতরান। ঢাকা ক্যাপিটালসের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে রেকর্ডে ভেসে গেল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
লিটন দাস আজ তুলে নিলেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। লিটনের ব্যাটে অপরাজিত ৫৫ বলে ১২৫ রান। তিনি ও তানজিদ তামিম জুটিতেই ঢাকা গড়ল বিপিএলে নতুন এক ইতিহাস। রাজশাহীর বিপক্ষে ২০ ওভারে ঢাকা তুলে ১ উইকেটে ২৫৫ রান। এটি বিপিএল ইতিহাসে কোনো দলের সর্বোচ্চ রান। বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান এখন ঢাকার। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের ২৩৯ রান ছিল আগের রেকর্ড।
লিটন মাত্র ৪৪ বলে নিজের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। তানজিদ তামিম বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন ৬২ বলে। লিটন বিপিএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম এবং বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুতগতির সেঞ্চুরি তুলেন লিটন। ক্রিস গেইল ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেন ২০১২ সালে, সিলেট রয়্যালসের সঙ্গে। বিপিএল ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি আহমেদ শেহজাদের। ২০১২ সালেই রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে ৪০ বলে করেন সেঞ্চুরি।
তানজিদ তামিমের আউটে শেষ হয় ২৪১ রানের জুটি। বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তানজিদ হাসান ১০৮ করেন ৬৪ বলে। তামিম ও লিটনের গড়েন ২৪১ রানের জুটি। এটিও রেকর্ড রেকর্ড। ২০১৭ সালে রংপুরের হয়ে ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককলামের ২০১ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন। তা এখন পেছনে ফেললেন লিটন-তামিম।
Discussion about this post