এমন দুঃস্বপ্নের সময় আর আসেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটে। টি-টুয়েন্টিতে ভরাডুবি। টেস্টেও চেনা যাচ্ছে না টাইগারদের। দেশের মাঠে ক্রিকেট দেখে হতাশায় ডুবছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরমধ্যে দেশের মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অলআউট হয়েছিল তারা ৮৭ রানে। ফের এই স্কোর।
তবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একশর নিচে অলআউট হয়ে যাওয়া এটিই প্রথম। আগের সর্বনিম্ন ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে। দল অলআউট হয় ১১০ রানে।
আগের দিনের ৭৬ রানের সঙ্গে বুধবার ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনের সকালে মাত্র ১১ রান যোগ করেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। দল পড়ল ফলো-অনে। বাংলাদেশকে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান। আবার সেমে সেই একই দৃশ্যপট। উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল চলছেই।
ফলো অন বাঁচাতে যে শেষ ভরসা ছিলেন সেই সাকিব আল হাসান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে ফিরেন সাকিব। আর তাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খান নাম লেখান রেকর্ড বুকে। ৪২ রানে ৮ উইকেট, পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সেরা বোলিং পারফরম্যান্স, অফ স্পিনারদের মধ্যে দেশটির ইতিহাসের সেরা।
এর আগে কিংবদন্তি স্পিনার আব্দুল কাদিরের ৫৬ রানে ৯ উইকেট পাকিস্তানের সেরা বোলিং। দ্বিতীয় সেরা সরফরাজ নওয়াজের ৮৬ রানে ৮ উইকেট। ইয়াসির শাহ ৪১ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪ (ডি.) (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ৫০*, রিজওয়ান ৫৩*; ইবাদত ২৩-৩-৮৮-১, খালেদ ১৭.৩-৫-৪৯-১, সাকিব ১৯-৭-৫২-০, তাইজুল ২৫-৬-৭৩-২, মিরাজ ১৪-২-৩৭-০)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২ ওভারে ৮৭/১০ (আগের দিন ৭৬/৭) (সাদমান ৩, মাহমুদুল ০, শান্ত ৩০, মুমিনুল ১, মুশফিক ৫, লিটন ৬, সাকিব ৩৪, মিরাজ ০, তাইজুল ০, খালেদ ০, ইবাদত ০* ; আফ্রিদি ৪-৩-৩-১, নুমান ১২-২-৩৩-০, সাজিদ ১৫-৪-৪২-৮, বাবর ১-০-১-০)।
Discussion about this post