রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে গেল যেন! রান বন্যা বললেও কিছুটা কম হয়! ইডেন পার্কে অস্ট্রেলিয়া জন্ম দিল নতুন বিস্ময়ের। লক্ষ্য ছিল ২৪৪! সেই রান পাহাড় টপকে গেল ৭ বল আর ৫ উইকেটে হাতে রেখেই। তাতে রান তাড়া করার বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। আগের রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪ উইকেটে জিতেছিল দলটি।
নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও কলিন মানরোর ঝোড়ো শুরুর পর টি-টুয়েন্টির বিশ্ব রেকর্ডের সম্ভাবনা জাগে। ১৩২ রানের সময় ফিরে যান মানরো (৩৩ বলে ৭৬)। ছিল ৬টি চার ও ছয়। কিউইরা ১২তম ওভারের করে ১৫০ রান। কিছুক্ষণ পরই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল দেখা পান গাপটিল। এ ডানহাতি এ ওপেনার ৫৪ বলে ১০৫ রান করার পথে ৯টা ছয়ে সঙ্গে ৬টা চারও মারেন।
বিশাল লক্ষ্যের সামনে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ওয়ার্নার ও ডি’ আর্চি শর্ট শুরুতেই তুলেন ঝড়। ৭.১ ওভারে তারা দলীয় স্কোর বোর্ডে তুরেন ১০০ রান! ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলেন ওয়ার্নার। ২৪ বলে ৫৯ রান করে দলীয় ১২১ রানে ফেরেন তিনি।
এরপর দলকে এগিয়ে নেন ক্রিস লিন (১৮) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৪ বলে ৩১)। ৪৪ বলে ৭৬ রান করেন ডি’ আর্চি শর্ট। এরপর ১৪ বলে ৩ ছয়, ৩ চারে ৩৬ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেরেন অ্যারন ফিঞ্চ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ২৪৩/৬ (গাপটিল ১০৫, মানরো ৭৬, সাইফার্ট ১২, চ্যাপম্যান ১৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩, টেইলর ১৭*, উইলিয়ামসন ১, হুইলার ১*; রিচার্ডসন ২/৪০, স্ট্যানলেক ১/৪৩, টাই ২/৬৪, স্টয়নিস ০/৫০, অ্যাগার ১/২৪, শর্ট ০/১৯)
অস্ট্রেলিয়া: ১৮.৫ ওভারে ২৪৫/৫ (ওয়ার্নার ৫৯, শর্ট ৭৬, লিন ১৮, ম্যাক্সওয়েল ৩১, ফিঞ্চ ৩৬*, স্টয়নিস ৪, ক্যারি ১*; বোল্ট ১/৪২, হুইলার ০/৬৪, সাউদি ১/৪৮, সোধি ১/৩৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৫৬)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ডার্চি শর্ট
Discussion about this post