ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আবারো জ্বলে উঠলেন মোহাম্মদ নাঈম। দেখা পেলেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। পরে মোহাম্মদ শহীদ, মুক্তার আলি ও নাবিল সামাদের বোলিং নৈপুণ্যে অনায়াসেই প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮৮ রানে হারিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও রানরেটের কারণে এবারের ডিপিএল শিরোপা ছুঁতে পারেনি দলটি। দিনের অন্য ম্যাচে সৌম্য সরকারের ডাবল সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছে আবাহনী লিমিটেড।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩২৭ রান করে লিজেন্ডসরা। দলটির হয়ে একাই ১৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাঈম। এদিকে মেহেদি মারুফ ও মুমিনুল দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। পরে ৪২.১ ওভারে মাত্র ২৩৯ রানে প্রাইম ব্যাংককে গুটিয়ে দিয়ে লিজেন্ডসরা ম্যাচ জিতে নেয় ৮৮ রানে। মাত্র ৬.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ শহীদ। এছাড়া নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলি নেন ২টি করে উইকেট।
মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মোহাম্মদ নাঈম ঝড় তোলেন। সে সময় সঙ্গী হিসেবে পান মেহেদী মারুফ। ওপেনিং জুটিতে তারা দলীয় স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ১৮.৪ ওভারে ১২৯ রান। তাতেই বড় স্কোরের ভীত পেয়ে সাবেক ডিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। এরপর মারুফ ৪৮ বলে ৫৪ রানে ফিরলে মুমিনুলকে নিয়ে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন নাঈম। এরমধ্যে ৯৬ বলে ১৫ চারে সেঞ্চুরির দেখা পান নাঈম। অন্যদিকে মুমিনুল তুলে নেন ৫৮ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি। সে সময় লিজেন্ডসদের রান ৩৮.১ ওভারে ১ উইকেটে ২৪৩। এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেন মুমিনুল। তার আগে তিনি করেন ৫২ রান। শেষ দিকে ১৩৬ রানে নাঈম ফিরলেও ঝড় তোলেন মুক্তার আলি। এ ডানহাতি করেন ৯ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২২ রান। অন্য প্রান্তে জাকির আলি ১৯ বলে খেলেন ২৭ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
প্রাইম ব্যাংকের সামনে ৩২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে ৭৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নেন রূপগঞ্জের মোহাম্মদ শহীদ ও নাবিল সামাদ। এরপর জ্বলে ওঠেন মুক্তার আলি। এ ডানহাতি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের জাকির হাসান ও অলক কাপালিকে ফিরেয়ে দেন। শেস দিকে শহীদের আগুন ঝরা বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। তাইতো ২৩৯ রানে গুটিয়ে ৮৮ রানের হার মানতে বাধ্য হয় দলটি।
১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে রূপগঞ্জ (০.৫১৭)। রান রেটে তাদের চেয়ে এগিয়ে শিরোপা জিতেছে আবাহনী (০.৮৬৬)। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম প্রাইম ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ৩২৭/৪ (মারুফ ৫৪, মোহাম্মদ নাঈম ১৩৬, মুমিনুল ৫২, নাঈম ২৪*, জাকের ২৭, মুক্তার ২২*; মোহর ১/৫৩, ইমরান ০/৫৬, আরিফুল ০/২৯, নাহিদুল ১/৫২, রাজ্জাক ১/৫৮, নাঈম ১/৫৩, কাপালী ০/২৫)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪২.১ ওভারে ২৩৯ (রুবেল ৩৭, এনামুল ২৬, সালমান ৭, জাকির ১১, আরিফুল ৩৩, কাপালী ২১, নাহিদুল ৭৪, নাঈম ১৫, রাজ্জাক ০, মোহর ০*, ইমরান ৬; শুভাশিস ০/৫৭, নাবিল ২/৪১, শহীদ ৪/২২, আসিফ ০/২৬, মুক্তার ২/৬২, নাঈম ১/৩০)
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৮৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ নাঈম
Discussion about this post