টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণায় আইসিসি ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সময় নির্ধারণ করেছে। আইসিসির দেওয়া সেই সময়ের একদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণা করেছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দল। দলে ফিরেছেন লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বির। কিন্তু বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পথচলা শুরু। তারপর টানা খেলে গেছেন তিনি। কিন্তু আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ দলে নেই রিয়াদ। তাকে ছাড়াই বুধবার ১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
কেন মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়া, তা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বুধবার মিরপুরে বলেন,
‘রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। জাতীয় দলের হয়ে অনেক ভালো ভালো খেলা আমাদের উপহার দিয়েছেন। শ্রীরাম (ব্যাটিং কনসালটেন্ট) আমাদের একটা প্ল্যান দিয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। একটু ডিফারেন্ট ডিরেকশন। ওই পরিকল্পনার সঙ্গেই আমরা গিয়েছি।’
মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে নান্নু আরও বলেন, ‘দেখুন, সবার সম্মতিক্রমে রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। সাকিব তো এশিয়া কাপ থেকেই অধিনায়ক। টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহকে দলে থাকবেন এমন প্রত্যাশা অনেকের থাকলেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আরও বলেন, ‘একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় জুনিয়রদের সঙ্গে থাকলে অনেক কিছু শিখতে পারে। সে আমাদের সাবেক অধিনায়ক। তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা মানে নতুনদের অনেক কিছু শেখার আছে। ওকে যখন প্র্যাকটিসে আনা হয়েছে, দল নিয়ে কিন্তু কোনও আলোচনা হয়নি। তখন বসা শুরু করেছি মাত্র। তরুণরা ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। প্র্যাকটিসের পরই আমরা দল নিয়ে আলোচনা করেছি।’
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন অবশ্য জানালেন, এখনই রিয়াদের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়নি। সুমন বলেন, ‘সময় বলে দেবে। কোনও খেলোয়াড় অবসর না নিলে তার সুযোগ অবশ্যই থাকবে।’ সঙ্গে প্রধান নির্বাচকও যোগ করেছেন, ‘অবশ্যই থাকবে। এটা তো অপ্রত্যাশিত কিছু না।’
Discussion about this post