ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই যোগ্যতার পরিধিটা দেখালেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কা সফরে ক্যান্ডির পালেকেল্লে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে পেলেন সাফল্য। দুই টেস্টে নিয়েছেন ৮ উইকেট। কি ছিল তার সাফল্যের পেছনের রহস্য? ব্যাটসম্যানরা যেখানে অনায়াসে রান তুলেছেন সেখানে কেমন করে তাসকিন পেলেন উইকেট। তারই উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
অবশ্য তার শিকার সেই ৮ উইকেট দিয়ে তাসকিনকে বিচার করা যাবে না। কারণ ক্যাচ মিস না হলে উইকেট সংখ্যা দশেরও বেশি হতে পারতো। সবচেয়ে বড় কথা বোলিংয়ে সুইং, লাইন-লেন্থ ও গতি সবকিছুতেই বাজিমাত করেছেন তাসকিন। এমন সাফল্যের পেছনে কঠোর পরিশ্রম আর টেকনিককেই মূল কারণ বলে মনে করছেন গিবসন।
গিবসন ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তাসকিনের ফিটনেসের নতুন মাত্রার জন্য এমন উন্নতি হয়েছে। ফিটনেস নিয়ে ও গত কয়েক মাস অনেক পরিশ্রম করেছে। ফিটনেসে উন্নতি করায় গতি বেড়েছে, তার পথ ধরে এসেছে ছন্দ। টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করাও তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেয়া পরামর্শগুলো সে খুব ভালোভাবে নিজের ভেতরে নিয়েছে। যা তাকে টেস্টে ম্যাচে মানসম্মত বোলারে পরিণত করেছে বলে আমার মনে হয়।’
টাইগারদের বোলিং কোচ গিবসন আরও বলেন, ‘দেখুন, আমরা তাসকিনের রান আপ নিয়ে অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করেছি। এমনকি নিউজিল্যান্ড সফরের আগে ওর ঘন ঘন নো বল করার একটা প্রবণতা ছিল। কিন্তু আমরা তার রান আপটা আরো সহজ করে দিয়েছি। দেখবেন শ্রীলঙ্কায় সে দুই টেস্টে প্রায় ৭০ ওভার (৬৮ ওভার) বল করেছে। কিন্তু এখানে একটাও নো বল করেনি। এখন সে কিছুটা সুইং করাতে পারছে। সব মিলিয়ে তার উন্নতিতে খুবই মুগ্ধ আমি।’
এ অবস্থায় প্রশ্ন থাকছে তাসকিন টেস্টে পারলেন। নিজেকে তিন ফরম্যাটেই মেলে ধরতে পারবেন তো? গিবসন বলেন, ‘এখনকার ছন্দ থাকলে সে সব সংস্করণেই সেরা পারফর্ম করতে পারবে। তবে এটা আসলে বলা কঠিন যে একজন বোলার টানা তিন সংস্করণে খেললে কি হতে পারে। আমাদের এখানে ওকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। বুঝতে হবে কাকে কখন কোথায় খেলাতে হবে, কখন বিশ্রাম দিতে হবে।’
Discussion about this post