যাকে বলে তীরে এসে তরী ডোবানো-টানা দুই ম্যাচেই এমন ঘটনা ঘটাল কলকাতা নাইটরাইডার্সরা।
ম্যাচ জিততে চাই ১২ বলে ১৬ রান। হাতে জমা ৬ উইকেট। এমন ম্যাচও জিততে পারেনি কেকেআর। তবে ভাগ্য ভাল-২০ ওভারে জিততে না পারলেও হেরে বসেনি! ম্যাচ টাই হয়েছে। ফল নির্ধারনের জন্য ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে।
-সেটাও আবার টাই!
তাই হার-জিত নির্ধারনের জন্য কে বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে-সেই হিসেব খোঁজা শুরু। তাতে এগিয়ে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ জিতে নিল।
আগে ব্যাট করে রাজস্থান ১৫২ রান তুলে। কলকাতা এই রান তাড়া করতে নেমে মাঝপথেই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছিল। দলকে সম্ভাবনায় তুলে আনে সাকিব আল হাসান ও সূর্যযাদবের ব্যাটিং। এই দুই তরুণের ব্যাটে ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি পৌছে যায় কলকাতা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এই দুজনে ২৬ বলে ৪৯ রান যোগ করেন। এই একটা জুটিই কলকাতাকে জয়ের কাছাকাছি পৌছে দেয়। কিন্তু ১৯ নম্বর ওভারে জেমস ফকনার রাজস্থানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। মাত্র ৪ রানে সেই ওভারে তিনি ৩ উইকেট শিকার করেন। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে কলকাতার প্রয়োজন দাড়ায় ১২ রানের। কিন্তু কলকাতা ১১ রান করে পায়। থেমে যায় ১৫২ রানে। ঠিক যেখানে রাজস্থান থেমেছিল। ম্যাচ টাই। সুপার ওভারে কলকাতা প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১১ রান। হারায় দুই উইকেট। জিততে হলে রাজস্থানের চাই ১২ রান। বোলার সুনিল নারাইনের সেই ওভারে রাজস্থানের দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও স্টিভেন স্মিথ ১১ রান তোলেন। সুপার ওভারও টাই! কিন্তু ম্যাচে কলকাতার চেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর কারণে ম্যাচ জিতে যায় রাজস্থান। কলকাতা হাঁকায় ১২ বাউন্ডারি। রাজস্থান ১৭টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: রাজস্থান ১৫২/৫ (২০ ওভারে, সাকিব ১/২৩)। কলকাতা ১৫২/৮ (২০ ওভারে, সাকিব ২৯*, যাদব ৩১, ফকনার ৩/১১)। সুপার ওভার: কলকাতা ১১/২, রাজস্থান ১১/০। ফল: বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর সুবাদে রাজস্থান জয়ী। ম্যাচসেরা: জেমস ফকনার।
Discussion about this post