দুঃস্বপ্নের সিরিজ কাটাল বাংলাদেশ দল। ওযানডেতে যেখানে দল উড়ল সাফল্যের আকাশে, সেখানে টেস্টে টানা দুটিতেই বিশাল হার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েছে মুমিনুল হকের দল। এই সিরিজটা ভুলতে চাইবেন বাংলাদেশি পেসার খালেদ আহমেদ। তাকে জরিমানা করেছে আইসিসি। ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। লেভেল ১ ভাঙায় খালেদের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত হয়েছে, ২৪ মাসে এটিই খালেদের প্রথম।
আইসিসির ‘কোড অব কন্ডাক্টের’ লেভেল-১ ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে খালেদের বিরুদ্ধে। এই কোড অব কন্ডাক্টের ২.৯ ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই খবর জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
পোর্ট এলিজাবেথে বাংলাদেশ বানাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন সময়ে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের দিকে বল ছুঁড়ে মারেন খালেদ। এ কারণেই আইসিসির আচরণবিধির ২.৯ অনুচ্ছেদ ভঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হলেন এই টাইগার পেসার।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৯৫তম ওভারে। খালেদের বল ডিফেন্স করে রান না নেওয়ার চেষ্টা করে স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন ভেরিয়েন্নে। মেজাজ হারিয়ে তারপরও বল ছুঁড়ে মারেন। ডানহাতের গ্লাভসে লাগে ভেরিয়েন্নের। এরপরই খালেদ দুঃখ প্রকাশ করলেও প্রোটিয়া ক্রিকেটার ভেরিয়েন্নে ঠিকভাবে সাড়া দেননি। ইয়াসির আলী রাব্বী এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
একটু পরই ভেরিয়েন্নেকে বোল্ড করেন খালেদ। ব্যস, টাইগার পেসার আনন্দে মাতেন। টেস্ট শেষে অনফিল্ড আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস ও অ্যালাহুডিয়েন পালেকার, তৃতীয় আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও চতুর্থ আম্পায়ার বোনগানি অভিযোগ আনেন। অ্যান্ডি পাইক্রফটের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন খালেদ।
Discussion about this post