ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মন খারাপ করা এক শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষটা স্বপ্নের মতো। মুশফিকুর রহীমের ব্যাটে ম্যাজিক্যাল সেঞ্চুরি। সঙ্গে তরুন মোহাম্মদ মিথুনের অর্ধশতক। আর শেষ প্রান্তে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে নামলেন তামিম ইকবাল। ম্যাচের শুরুতে চোট নিয়ে যান হাসপাতালে এরপর কব্জির ইনজুরিতে পড়ে শেষ এশিয়া কাপ। বাম হাতে প্লাস্টার। ভাঙ্গা কব্জি নিয়েই উইকেটে তামিম। তিনি প্রান্ত আগলে থাকায় বাংলাদেশ প্রথম লঙ্কানদের বিপক্ষে পেল ২৬১ রানের ইনিংস। লড়াকু পুঁজি!
আর সেই অর্জনে বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে মুশফিক ফিরেন ১৫০ বলে ১৪৪ রান তুলে। তার বাহারি ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কা। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে মুশফিকের আগের সর্বোচ্চ ছিল ১১৭। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে এই রান তুলেন তিনি।
আর বল হাতে সফল লাসিথ মালিঙ্গা। ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন দলে ফেরা এই শ্রীলঙ্কান পেসার।
শুরুতেই ঝড় তুলেন তিনি। লাসিথ মালিঙ্গা ফেরান লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানকে। তারপরই সুরঙ্গা লাকমালের ওভারের শেষ বলে কব্জিতে চোট পান তামিম। তারপরই যেতে হয় সোজা হাসপাতালে। কিন্তু তারপর ফিরে এসে মাঠে নামে চমকে দেন তিনি। সঙ্গ দেন মুশফিককে। তবে এই ম্যাচ শেষেই ফিরতে হবে তাকে। ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তামিমকে।
এর আগে মিঠুন ৬৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৬৩ রান করেন। মুশফিকের সঙ্গে জুটি বেধে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২৬১/১০ (৪৯.৩ ওভারে), তামিম ২*, মুশফিক ১৪৪, মিঠুন ৬৩, মেহেদি ১৫, মালিঙ্গা ৪/২৩।
Discussion about this post