মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কান পাতলেই এখন খবরটা শোনা যায়। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম অধ্যায় শেষ। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের পর পদত্যাগের খবর উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ‘আমি কেন সরে যাবো?’ এমন প্রশ্ন রেখে মুশফিক এরইমধ্যে বলেছেন, ‘আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্ত বিসিবির। তারাই আমাকে এই সম্মান, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গে আমার সেরা চেষ্টা করেছি। তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এনিয়ে কৌশলেই হাটছে। চট জলদি টেস্ট অধিনায়ককে অব্যাহতির বিষয়ে তারা ভাবছে না দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফিরে অধিনায়ক মুশফিক ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তারপরই একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
এদিকে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এনিয়ে মন্তব্য করলেন। তিনি মনে করেন সিদ্ধান্তটা মুশফিকেরই নেয়া উচিত। জানালেন, ‘মুশফিক যদি নিজেকে অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, যদি অন্য কারো দ্বারা তাকে পরিচালিত হতে হয়, তাহলে আমি বলবো ওর এখনই সড়ে দাঁড়ানো উচিত। অনেক সময় পরিবর্তন খারাপ হয় না।’
ক্রিকেট বিশ্লষক লিপু মনে করেন, ‘মাঠের দায়িত্ব পুরোপুরি ক্যাপ্টেনের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ। তার ব্যাখ্যা, কোচ লক্ষ্য ও কৌশল নির্ধারণ নিয়ে কাজ করবেন। অধিনায়কের সাথে গেম প্ল্যান শেয়ার করবেন। দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়েও কথা হবে, কিন্তু মাঠে অধিনায়ককে জায়গামত সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দিতে হবে।’ যদিও মুশফিক এরইমধ্যে বলেছেন প্রোটিয়া সফরে তার ফিল্ডিং পজিশনও ঠিক করে দিচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। এক্ষেত্রে বলা অপেক্ষা রাখে না যে টস নিয়েও মাঠের বাইরে থেকে পরামর্শ শুনতে হয়েছে তাকে। যার খেসারত গুণে দুই টেস্টেই বাজেভাবে হেরেছ দল। হোয়াইট ওয়াশের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।
তবে যাকেই অধিনায়ক করা হোক তাকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিতে হবে বলে জানান লিপু। সেটা না হলে একই পরিনতি হবে।
Discussion about this post