ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টেস্ট ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সেরা পারফরমারদের একজন তিনি। বিশেষ করে দেশের মাঠে বল হাতে দারুণ সফল তাইজুল ইসলাম। এবারও তাকে ঘিরে প্রত্যাশাটা থাকছে। সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে ফর্মে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনিও আছেন টেস্ট দলে। সঙ্গে আরেক স্পিনার নাঈম হাসান। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্পিন আক্রমণটা বেশ মজবুত।
৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে শুরু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেখানে বাংলাদেশ একাদশে তাইজুলের থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। লড়াইয়ের আগে এখন অনুশীলনে ব্যস্ত দল। তাইজুল বৃহস্পতিবার অনুশীলনের ফাঁকে ভিডিও বার্তা দিলেন। যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ।
তার সেই বার্তার চুম্বক অংশ তেলে ধরা হলো এখানে-
উইন্ডিজের বিপক্ষে দল ওয়ানডে সিরিজ জিতল ৩-০ ব্যবধানে। টেস্ট সিরিজে কেমন হবে?
তাইজুল ইসলাম: অনেকদিন পর আমাদের দেশের মাটিতে খেলা। সবকিছু হয়তো এতটা সহজ হবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বেশকিছুদিন ধরে অনুশীলনের মধ্যে আছি এবং ওয়ানডে দলের সাথেও ছিলাম। ওখানে থাকার কারণে আমার অনুশীলনটা বেশি হয়েছে। আমাদে কোয়ালিটিফুল প্র্যাকটিস সেশন হচ্ছে, আশা করি কামব্যাক করতে বড় ধরণের কোন অসুবিধা হবে না।
অনেক দিন পর দল মাঠে। মাঝে করোনার কারণে লম্বা সময় আপনারা ছিলেন মাঠের বাইরে…
তাইজুল ইসলাম: এতদিন খেলা নেই এটার কোন পার্থক্য আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। সেভাবে মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম সাথে বড় বিরতিতে আমরা অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। অনেকেই অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছে, আমিও অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছি কিভাবে উন্নতি করা যায়। তারপরও টেস্ট ক্রিকেটে জায়গাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তো আমি জায়গাটা মেইনটেইন করবো। জায়গা মেইনটেইন করে ওখান থেকে ভেরিয়েশনগুলো করে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।
স্পিন আক্রমণটা কেমন হবে। সাকিবও তো যোগ দিলেন…
তাইজুল ইসলাম: আসলে সাকিব ভাই যখন আমাদের সাথে থাকে বিশেষ করে স্পিনারদের অনেক সাহায্য করে। ব্যাটসম্যান কোন মুভমেন্টে থাকে সাকিব ভাই আগে থেকে বুঝে আরকি। আর সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করে। আমি বলবো যে আমি, মিরাজ, নাঈম ও সাকিব ভাইয়ের একটা ভালো জুটি হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা ভালো করার চেষ্টা করবো। তো আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো যে আমারও ৬-৭ বছর হয়ে গেছে জাতীয় দলে খেলার। সাকিব ভাইয়ের কাছে হয়তো অনেক কিছু নিতে পেরেছি, তো সেগুলো চেষ্টা করবো। দেখা যাচ্ছে সাকিব ভাই কোন কিছু বলার আগেই আমি সেগুলো করার চেষ্টা করবো।
নিজে কতোটা প্রস্তুত…
তাইজুল ইসলাম: আমি ৬-৭ বছর খেলে ফেলেছি ইতোমধ্যে। আমার যে অভিজ্ঞতাটা হয়েছে, আমি যেটা ফিল করি মাঠে বা মাঠের বাইরে টেস্ট চলাকালীন, আমি মনে করি যারা জুনিয়র আছে তাদেরকে যেন হেল্প করতে পারি বা অভিজ্ঞতা যতটুকুই আছে তা যেন শেয়ার করতে পারি। আমার মনে হয় আমি যদি শেয়ার করি তাদের ডেভেলপমেন্টটা তাড়াতাড়ি হবে।
Discussion about this post