প্রথম টেস্টে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে জয় ছাড়া কোনো পথ খোলা ছিল না বাংলাদেশের সামনে। চট্টগ্রামে সেই চাপকেই শক্তিতে রূপ দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে শুরু, এরপর বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করে দারুণ এক অলরাউন্ড কীর্তিতে দলকে এনে দিলেন ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় জয়।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, যার ভিত তৈরি করে দেন সাদমান ইসলাম (১২০) ও মিরাজ (১০৪)। তানজিমের ৪১, মুশফিকের ৪০ ও এনামুল হক বিজয়ের ৩৯ রানের ইনিংস দলকে এনে দেয় বড় লিড।
২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে আবারও মুখোমুখি হয় স্পিন-বিপর্যয়ের। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম তুলে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, শুরুতেই ব্যাটিং লাইন হেলে পড়ে। এরপর পুরো দৃশ্যপট দখলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একে একে তুলে নেন ৫টি উইকেট, কোনো প্রান্তেই পথ খুঁজে পায়নি সফরকারীরা। তাদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে মাত্র ১১১ রানে।
আগের ম্যাচে বল হাতে ১০ উইকেট নিয়েও জয়ের দেখা পাননি মিরাজ। এবার সেই আক্ষেপ পূরণ করলেন দ্বিমুখী পারফরম্যান্সে। সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট- দুটি বড় কীর্তি এক ম্যাচে করে তিনি এখন বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ড পারফর্মারদের তালিকায়।
সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। যদিও সিরিজ জেতা হয়নি, তবে বড় ব্যবধানে জয় এবং মিরাজ-তাইজুলদের পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য বড় প্রেরণা। অভিষেকে নজর কেড়েছেন তানজিম হাসানও।
ইতিহাস জানাচ্ছে-টেস্টে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়। নিজেদের মাঠে এটি টানা ৬ টেস্ট হারের পর বাংলাদেশের প্রথম জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংসে ২২৭/১০ ও ২য় ইনিংসে ১১১/১০
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংস ৪৪৪/১০
ফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী।
Discussion about this post