চট্টগ্রামের আকাশে বৃষ্টির হানা থাকলেও মাঠে ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের রোদের মতো উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় দিন সাদমান ইসলামের শতকের পর তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে শতরান তুলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অনবদ্য ইনিংসেই প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড তুলে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪ রানে। এতে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা পেয়েছে ২১৭ রানের শক্ত লিড, যা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রাখার জন্য যথেষ্টই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শেষ পর্যন্ত মিরাজ থেমেছেন ১০৪ রানে। তাঁর ১৬২ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকতেই সঙ্গী তানজিম হাসান বিদায় নেন ৪১ রানে। তবে একাদশ ব্যাটার হাসান মাহমুদ দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মিরাজকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সহযোগিতা করেন। শেষ পর্যন্ত মিরাজ স্টাম্পড হয়ে ফিরলে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
চট্টগ্রাম যেন সৌভাগ্যের মাঠ মিরাজের জন্য। ২০২১ সালে এই ভেন্যুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন নিজের প্রথম টেস্ট শতক। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে ৯৭ রানে থেমে গেলেও এবার দ্বিতীয় শতকটি পূর্ণ করলেন দৃঢ়তায়।
মিরাজের পাশাপাশি তানজিম হাসানও নজর কাড়েন গুরুত্বপূর্ণ ৪১ রানের ইনিংসে। তাদের দুজনের পার্টনারশিপেই দল পেরিয়ে যায় ৪০০ রানের গণ্ডি।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরমার ছিলেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ৩১.২ ওভারে ১১৫ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচটি মূল্যবান উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২২৭/১০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪/১০ (মিরাজ ১১০৪, নাঈম ৩, তাইজুল ২০, তানজিম ৪১, হাসান ০*; এনগারাভা ১৪-২-৫৭-০, মুজারাবানি ২৬-৫-৮৩-১, মাসাকাদজা ৩৪-৫-৯০-১, মাসেকেসা ৩১.২-০-১১৫-৫, মাধেভেরে ১৫-০-৩৫-১, বেনেট ৯-১-৪৯-১)
Discussion about this post