ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
মিশন ইমপসিবলের সামনে দাঁড়িয়ে এখন জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের পাহাড় সমান লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার টেস্টের চতুর্থ দিনে চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৬ উইকেটে ২২৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের জিততে চাই ৪৪৩ রান। টেস্ট ইতিহাসে এতো বড় স্কোর জয়ের রেকর্ড নেই কোন দেশের। জিততে হলে গড়তে হবে নতুন এক বিশ্বরেকর্ড। টেস্টে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়ে তারা। সন্দেহ নেই ঢাকা টেস্টে জয়ে ভিত গড়ে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট বাঁচাতে কাটিয়ে দিতে হবে চার সেশন!
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চাপের মুখে দাঁড়িয়ে তুলেছেন দুর্দান্ত এক শতরান। তার ব্যাটে সেঞ্চুরি আসতেই ইনিংস ঘোষণা করে সাজঘরে ফিরেন। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে। প্রায় সাড়ে ৮ বছর পর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে শতক। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন এই অলরাউন্ডার।
বাজে সময় কাটিয়ে পেলেন শতরান। ঢাকা টেস্টের আগে সবশেষ নয় ইনিংসে পাননি কোনো ফিফটি। ১২২ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কা। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ২৭ রানে। এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৬৭ রান। ক্যারিয়ারের অভিষেক টেস্টেই হাফসেঞ্চুরি পেলেন তিনি।
জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে সকালে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন দাস (৬), ইমরুল কায়েস (৩), মুমিনুল (১) আর মুশফিক (৭) দ্রুত ফিরেন সাজঘরে। এরপর হাল ধরেন রিয়াদ-মিঠুন।
এর আগে মঙ্গলবার দিনের শেষে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস ৩০৪ রানে অলআউট হয়। ২১৮ রান লিড নেয় বাংলাদেশ। ১ম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের (২১৯) ইনিংস খেলেন তিনি। মুমিনুল হক দুঃসময় কাটিয়ে করেন ১৬১ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫২২/৭ (ইনিংস ঘোষণা)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৩০৪/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৪ ওভারে ২২৪/৬ (ইনিংস ঘোষণা) (লিটন ৬, ইমরুল ৩, মুমিনুল ১, মিঠুন ৬৭, মুশফিক ৭, মাহমুদউল্লাহ ১০১*, আরিফুল ৫, মিরাজ ২৭*; জার্ভিস ২/১৭, টিরিপানো ২/৩১, উইলিয়ামস ১/৬৯, রাজা ১/৩৯)।
Discussion about this post