একদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই বিদায় নেওয়া এই ক্রিকেটার এবার ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন। এর মাধ্যমে ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মাহমুদউল্লাহ।
অবসরের ঘোষণা আসার পর থেকেই সতীর্থদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন। তার স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টিও আবেগঘন পোস্ট দিয়ে স্বামীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সবকিছুরই শেষ আছে, তবে আমাদের জন্য এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে তোমাকে আর লাল-সবুজ জার্সিতে দেখতে পারব না। ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত অনেক স্মৃতি আছে লালন করার মতো! বিশ্বকাপের সেঞ্চুরির পর তোমার উদযাপন ছিল আমার জন্য সেরা সারপ্রাইজ গিফট।’
তিনি আরও বলেন, ‘তুমি আমার প্রিয় ক্রিকেটার, আমার নায়ক এবং সবসময় একই থাকবে। আমি গর্বিত যে তোমাকে আমার বলতে পারছি, যে কিনা দেশকে সার্ভ করেছে অনেক নিবেদন, সততা এবং ভালোবাসা দিয়ে। তোমার লিগ্যাসি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে, ইনশাআল্লাহ।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক স্মরণীয় মুহূর্তের নায়ক। ২০১৫ বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তিনি দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কীর্তি গড়েন। এছাড়া ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন।
তার ক্যারিয়ারে ছিল উত্থান-পতনের গল্প। কখনো দলের অন্যতম ভরসা, কখনো একাদশের বাইরে থাকার কষ্ট-সবই তিনি সামলেছেন পরিপক্বতার সঙ্গে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অনেক দারুণ মুহূর্ত উপহার পেয়েছে।
মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তিনি ৫০টি টেস্টে ২৯১৪ রান করেছেন, যেখানে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৬টি ফিফটি রয়েছে। ওয়ানডেতে তার সংগ্রহ ২৩৯ ম্যাচে ৪৯৬৯ রান, ৩টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি ফিফটি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিনি ১৪১ ম্যাচে করেছেন ২১২২ রান। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বল হাতে নিয়েছেন ১৬৭ উইকেট।
Discussion about this post