ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বয়স ৩৭ পেরিয়েছে। ক্যারিয়ারে বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। কিন্তু মাশরাফি বিন মর্তুজা তারপরও হার মানেন নি। এবারের বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে তো খেলার সম্ভাবনাও মিলিয়ে গিয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারের। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ভুগেছেন ইনজুরিতে। সব সামলে ফিরেছেন মাঠের লড়াইয়ে। আর ফিরেই বেশ মানিয়ে নিলেন। সোমবার তো পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার।
মাশরাফি ৪-০-৩৫-৫! তার ম্যাজিকেল ফিগারেই গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৪৭ রানে হারাল জেমকন খুলনা। দল পেয়ে গেল ফাইনালের টিকিট।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে মাশরাফি পেলেন সাফল্য। গত মার্চের পর ফের নেমে বুঝিয়ে দিলেন তিনি ফুরিয়ে যান নি। এই সাফল্যের রহস্যটা কি?
সোমবার জয়ের নায়ক মাশরাফি বলছিলেন, ‘কোনো রহস্য নেই সাফল্যের। শুধু ভালো জায়গায় বল করে যাওয়া, এটাই। গত আট-নয় মাস ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না। আমার জন্য আদর্শ ছিল না। তবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। শুধু নিজের জায়গায় বল করে যাওয়া, এটাই আমি অনেক বছর ধরে করে আসছি। এটাই আত্মবিশ্বাসের একমাত্র কারণ বলা যায়। আমি ঠিক জায়গায় বল করে যেতে পারি। বাকি যা হওয়ার তা তো হবেই।’
টি-টুয়েন্টিতে তার আগের সেরা ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট। ২০১৮ সালের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে তুলে নেন এই সাফল্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেরা বোলিং ১৯ রানে ৪ উইকেট, ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
সেই সাফল্য পেছনে ফেলে নতুন উচ্চতায় মাশরাফি। যদিও লড়াইটা সহজ ছিল না। জানাচ্ছিলেন, ‘ক্রিকেট মানসিকতার কথা। সময়টা কঠিন ছিল। করোনা পজেটিভ হওয়া সহজ ছিল না। আমি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম, তখনই হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ি। সহজ ছিল না। তবে আমি লেগে ছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল এই টুর্নামেন্টটা খেলতে পারব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, এটাই হয়েছে।’
এবার ফাইনাল ম্যাচে নামবে মাশরাফির দল খুলনা!
Discussion about this post