টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে তিনিই সেরা। কিন্তু এবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না লাসিথ মালিঙ্গাকে। ৫ ম্যাচ খেলে তার শিকার সংখ্যা মাত্র ৫। যা কোনভাবেই তার নামের পাশে মানানসই নয়! তাহলে কি ফাইনালে রোববার ভারতের বিপক্ষে বল হাতে ঝড় তুলবেন তিনি?
সবমিলিয়ে টি-টুয়েন্টিতে ৫৫ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৬৫। টেস্ট ক্রিকেটকে সেই ২০১১ সালে বিদায় বলে এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত তিনি।
মালিঙ্গা ডাক পান ২০০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে। ডারউইনে অভিষেক টেস্টেই গতির ঝড় তুলেন তিনি। নেন ৬ উইকেট। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি একটু অন্যরকম বোলিং অ্যাকশনের এই বোলারটিকে।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মালিঙ্গার অভিষেক ২০০৪ সালের ১১ জুলাই। ডাম্বুলায় প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুত ২৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা গড়েছেন তিনি। এশিয়া কাপে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন মালিঙ্গা। এজন্য তার খেলতে হয় ১৬৩ ম্যাচ। ১৭৪ ম্যাচ খেলে রেকর্ড গড়েছিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।
ওয়ানডেতে তিনবার হ্যাটট্রিক করা একমাত্র বোলার মালিঙ্গা। এখন পর্যন্ত বলের গতি উঠেছে ৯৬.৮ কিলোমিটার (প্রতিঘন্টায়)।
টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে মালিঙ্গার অভিষেক ২০০৬ সালের ১৫ জুন। এখানে তিনিই নাম্বার ওয়ান। ২০ ওভারের এই ধুন্ধুমার ক্রিকেটে দারুণ সফল ১৯৮৩ সালের ২৮ আগষ্ট জন্ম নেওয়া এই বোলারের। একইভাবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল বোলারও তিনিই। ৩০ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।
একনজরে-
- পুরো নাম: সিপারামাদু লাসিথ মালিঙ্গা স্বর্নজিৎ
- জন্ম: ২৮ আগস্ট, ১৯৮৩
- ডাকনাম: স্লিঙ্গা, মালি
- টেস্ট অভিষেক: ১-৩ জুলাই ২০০৪
- প্রতিপক্ষ: অস্ট্রেলিয়া
- টেস্ট উইকেট সংখ্যা: ১০১
- ওয়ানডে অভিষেক: ১৭ জুলাই ২০০৪
- প্রতিপক্ষ: সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ওয়ানডে উইকেট সংখ্যা: ২৫৬।
- টি-টুয়েন্টি অভিষেক: ১৫ জুন, ২০০৬।
- প্রতিপক্ষ: ইংল্যান্ড
- টি-টুয়েন্টি উইকেট সংখ্যা: ৬৫।
http://youtu.be/Wx1HHNfTTLM
Discussion about this post