সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিনত হয়ে উঠেছেন কলিন মানরো। ব্যাট হাতে দারুণ দাপটএ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। বুধবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও তা দেখা গেল। খেললেন ৫৩ বলে ১০৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। এটি আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। যা কীনা একটি রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ২টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে ক্রিস গেইল, ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, রোহিত শর্মা ও এভিন লুইসের। তার এমন ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১১৯ রানে। কিউইরা সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
মানরোর ব্যাটে নিজেদের টি-টুয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের (৫ উইকেটে ২৪৪) রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড। এ সংস্করণে মানরো তুলে নিয়েছেন কিউইদের হয়ে দ্রুততম (৪৭ বল) সেঞ্চুরি। ১০ ছক্কা ও ৩ চার ছিল তার ইনিংসে। জবাব দিতে নেমে টিম সাউদির পেসে বিধ্বংস হয়ে ১৬.৩ ওভারে মাত্র ১২৪ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই মানরো ও মার্টিন গাপটিল স্বাগতিদের ১১.৩ ওভারেই এনে দেন ১৩৬ রান। গাপটিলে অবদান ৫১ বলে ৫ চার ২ ছয়ে ৫১ রান। মানরো হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেন ২৬ বল। পরে সেই ইনিংসটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে আর মাত্র ২১ বল প্রয়োজন পড়ে তার। ইনিংসের শেষ ওভারের শুরুতেই ৫৩ বলে ১০৪ রান ব্রাফওয়েটের বলে হ্যাটমায়ারের ক্যাচে ফেরেন তিনি।
তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতেই বড় ধাক্কা দেন টিম সাউদি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওয়ালটন ও ক্রিস গেইলকে সাজঘরে ফেরান এ ডানহাতি পেসার। আন্দ্রে ফ্লেচার (৩৬ বলে ৪৬) ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান বলার মতো রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ২৪৩/৫ (গাপটিল ৬৩, মানরো ১০৪, ব্রুস ২৩, কিচেন, ৯, উইলিয়ামসন ১৯, ফিলিপস ৭*, স্যান্টনার ৬*; টেইলর ১/৫৩, বদ্রি ০/৫১, নার্স ০/৪৩, ব্র্যাথওয়েট ২/৫০, এমরিট ১/৪২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৩ ওভারে ১২৪ (ওয়ালটন ০, গেইল ০, ফ্লেচার ৪৬, পাওয়েল ১৬, হেটমায়ার ৭, ব্র্যাথওয়েট ১৫, নার্স ১৪*, এমরিট ৫, টেইলর ১৩, বদ্রি ২, হোপ চোট পেয়ে অনুপস্থিত; সাউদি ৩/২১, বোল্ট ২/২৯, কিচেন ১/৩৩, স্যান্টনার ০/১৬, সোধি ২/২৫)
ফল: নিউজিল্যান্ড ১১৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ২-০ ব্যবধানে জয়ী নিউ জিল্যান্ড
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা: কলিন মানরো
Discussion about this post