ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফিরে এসেছে সেই অভিশপ্ত ১৬ মার্চ। এই তারিখেই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা না ফেরার দেশে নিয়ে যায় তাকে। যিনি অমিত প্রতিভা নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন ক্রিকেটে। মনে হচ্ছিল দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাবে তাকে। কিন্তু এক মর্মান্তিক ঘটনা সব এলোমেলো করে দিল। মানজারুল ইসলাম রানা-নামটার সঙ্গে যেন দীর্ঘশ্বাস জড়িয়ে আছে। যে কীনা হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় দলের অপরিহার্য এক ক্রিকেটার। কিন্তু কী নিষ্টুর নিয়তি! মাত্র ২২ বছর বয়সেই তাকে চলে যেতে হল না ফেরার দেশে।
ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মারা যাওয়া টেস্ট ক্রিকেটার যে তিনিই। সেই মানজার রানা ২০০৭ সালের ১৬ মার্চ খুলনার ডুমুরিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। সেদিন রানার সঙ্গেই দুর্ঘটনায় পড়েন আরেক ক্রিকেটার। মারা যান আরেক ক্রিকেটার সাজ্জাদুল হাসান সেতুও।
১৬ মার্চের বিকেল। অনুশীলন শেষে বাইকে উঠেন মানজারুল ইসলাম রানা। পেছনে জাতীয় লিগে তাঁর সতীর্থ খেলোয়াড় সাজ্জাদুল হাসান সেতু। দুজন শহরের অদূরে প্রিয় এক হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে যাচ্ছিলেন।
তাদের সেই বাইকটি খুলনার বালিয়াখালি ব্রিজের কাছে আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা এক অ্যাম্বুলেন্সের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে মারা যান জাতীয় দলের অন্যতম নিয়মিত সদস্য মানজারুল ইসলাম রানা। গুরুতর আহত সেতুকে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে।
ক্রিকেটে খুলনার কথা আসলেই চলে আসে রানা প্রসঙ্গ। আবু নাসের স্টেডিয়ামের একটা গ্যালারিরও তার নামে করা হয়েছে। খুলনায় খেলা হলেই অপেক্ষায় থাকেন রানার মা। তার ছেলেকে নিশ্চয়ই সবাই মনে করবে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সুযোগ পেলেই দেখা করেন রানার মার সঙ্গে। কিন্তু এখনো ছেলেকে খুঁজে ফিরেন তিনি।
রানা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৬ টেস্ট (২৫৭ রান এবং ৫ উইকেট) এবং ২৫ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে করেন ৩৩১ রান এবং নেন ২৩ উইকেট। বেঁচে থাকলে হয়তো আরও অনেক কিছুই করতে পারতেন তিনি।
Discussion about this post