গলের সকালে আজ লঙ্কানদের দৃঢ়তা দেখে মনে হচ্ছিল, বড় লিড নিয়েই এগিয়ে যাবে তারা। ৬ উইকেটে ৪৬৫ রান তুলে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু হঠাৎ করেই খেই হারায় তারা। আর এই পতনের নায়ক এক তরুণ স্পিনার—নাঈম হাসান।
বাংলাদেশের এই অফস্পিনার দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার শেষ ৪ উইকেট তুলে নেন। সবমিলিয়ে ৪৩.২ ওভারে ১২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তুলে নেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফার। এতে ৪৮৫ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
এর আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৯৫ রান। ফলে ১০ রানের ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় টাইগাররা।
তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ছিল ৪ উইকেটে ৩৬৮ রানে। সেখান থেকে চতুর্থ দিন সকালে তারা যোগ করে মাত্র ১১৭ রান। কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭ রান করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, তার বিদায়ের পর শুরু হয় ধস। ধনাঞ্জয়া, থারিন্দু ও আসিথা—পরের তিন ব্যাটারকেও ফিরিয়ে দেন নাঈম।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে সহায়তা করেন হাসান মাহমুদ (৩/৭৪), তাইজুল ইসলাম (১/১৫৬), মুমিনুল হক (১/২৮)। তবে রান খরচে নজরে পড়েন নাহিদ রানা, যিনি ১৯ ওভার বল করে ৯৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯৫/১০
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৬৮/৪) ১৩১.২ ওভারে ৪৮৫ (কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭, ধানাঞ্জায়া ১৯, কুসাল মেন্ডিস ৫, মিলান রাত্নায়াকে ৩৯, থারিন্ডু রাত্নায়াকে ০, জয়াসুরিয়া ১১*, আসিথা ৪; হাসান ২১-৪-৭৪-৩, নাহিদ ১৯-০-৯৭-০, তাইজুল ৪১-৩-১৫৬-১, নাঈম ৪৩.২-৪-১২১-৫, মুমিনুল ৭-০-২৮-১)
Discussion about this post