ব্যাট হাতে তিনি ঠিকই এখনো বাংলাদেশের সেরাদের একজন। পরিসংখ্যান জানিয়ে দিচ্ছে এ বছর টেস্টে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানও এসেছে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু সেই মুশফিকুর রহীম রয়েছেন চাপে। উইকেটকিপিং হারিয়েছেন। ম্যানেজম্যান্টের চাপে এমন কী নেতৃত্বটাও স্বাধীনভাবে দিতে পারছেন না! এনিয়ে হতাশার শেষ নেই। গত শুক্রবার নিজের সেই ক্ষোভ লুকোননি টেস্ট অধিনায়ক।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মুশফিকুর রহীম বলছিলেন, ‘দেখুন আমি একটা ব্যাপার পরিষ্কার করি, আমি ফিল্ডার হিসেবে খুব একটা ভালো না। এ কারণে আমার কোচরা চেয়েছে আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। আমি সামনে থাকলে আমার কাছ থেকে নাকি রান হয়ে যায়। বা আমার হাতে ক্যাচ-ট্যাচ আসলে নাকি (ধরার) চান্স থাকে না। ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটা তো আপনার করতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি, বেশিরভাগ সময় বাইরে বাইরে থাকার। যখন ভেতরে ছিলাম তখন বোলারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি।’
এভাবে মাঠের ভিতরেও টিম ম্যানেজম্যান্টের হস্তক্ষেপ নিয়ে অবশ্য শুক্রবার রাত থেকেই সরব ফেসবুক। একজন অধিনায়কের ওপর এভাবে চাপ প্রয়োগ করায় ম্যানেজম্যান্টের সমালোচনা করছেন অনেকেই। কারণ মাঠে অধিনায়কের সিদ্ধান্তই শেষ কথা!
প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও টস জিতে প্রথম প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ব্যাপারটা যে ভাল সিদ্ধান্ত ছিল না সেটা এরইমধ্যে বুঝে গেছেন সবাই। কিন্তু এখানেও অধিনায়ক স্বাধীন থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কীনা এনিয়ে ভক্তরা রয়েছেন দ্বিধায়। মুশফিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলছিলেন, ‘দেখুন মনে হচ্ছে টসে জেতাই ভুল হয়ে গেছে ভাই! অধিনায়ক হিসেবে সততার সঙ্গে সব পালন করতে চেষ্টা করছি। এ দুই টেস্টে
মনে হচ্ছে টস হারলে ভালো হয়। আগে কখনো এটা মনে হয়নি! এটা হয়তো আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা।’
এদিকে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হারের পর ২য় টেস্টে বাজে অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার টেস্টের ২য় দিনে লাঞ্চ বিরতির আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংসে করেছে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭১ রান। আগের দিন সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনার ডিন এলগার ও এইডেন মার্করাম। আর শনিবার করলেন হাশিম আমলা।
Discussion about this post