ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনা পরবর্তী যুগে মাঠের ক্রিকেট নতুন করে ফিরছে আগামী মাসে। কিন্তু এবার ক্রিকেটারদের খেলতে হবে দর্শক শুন্য স্টেডিয়ামে। যে কারণে বেশ চাপ অনুভব করছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। যা কাটিয়ে উঠতে ইংল্যান্ডের এ পেসার শরনাপন্ন হয়েছেন মনোবিদের।
এই গ্রীষ্মে ‘বায়ো-সিকিউর’ দর্শকশূন্য ভেন্যুতে ছয়টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে। পাকিস্তানের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টিও হবে একইভাবে। সিরিজ শুরুর আগে ব্রড অংশ নিয়েছেন তাদের এখনকার আবাস এজিয়েস বোউল থেকে, ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে। দর্শকশূন্য মাঠে খেলার চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন সেখানেই, ‘আমার মনে হয় দর্শক ছাড়া ম্যাচ খেলার অনুভূতি আলাদা হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখন আগের চেয়ে বেশি একটা মানসিক পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে, আমি সেটা জানি। এরই মাঝে আমাদের মনোবীদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি, যাতে করে নিজের সেরাটা দেয়ার মতো মানসিক অবস্থায় থাকতে পারি’।
ভিন্ন পর্যায়ের ম্যাচের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা কাজে দেয়, এমনটাই বলেছেন ব্রড, ‘আপনি যদি আমাকে একটা অ্যাশেজ ম্যাচ বা একটা প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে বলেন, আমি জানি কোথায় আমাকে বেশি ভাল পারফর্ম করতে হবে। আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের জন্য আমার আবেগ কোথায় থাকতে হবে, সেটা জানি আমি। জুনের শুরুতে এসব নিয়েই কাজ করা শুরু করেছি আমি’।
মাঠে দর্শক থাকলে তাদের উৎসাহে সেরাটা বেরিয়ে আসে ব্রডের, ‘এটা আমার জন্য একটা চিন্তার ব্যাপার। কারণ আমি জানি, যখন চাপে পড়ি, তখনই সেরা পারফর্ম করি। যখন ম্যাচ অনেক উত্তেজনার একটা অবস্থায় থাকে। আর যখন আমার মনে হয় যে ম্যাচে কিছু হচ্ছে না, শুধু এগুচ্ছে, তখন ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় থাকি আমি’।
এমন সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে নিজে নিজে একটা বলয় তৈরি করছেন ব্রড। নিজের আবেগকে উঁচুতে রাখতে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে দ্বৈরথের দিকে বেশি নজর দেবেন, তাদের শক্তি-দূর্বলতা নিয়েও বেশি করে ভাবছেন। আর মনে রাখছেন অনুশীলনে সাউথাম্পটনে আসার আগে তার মা মিচেলের বলা কথাটা, ‘আমার মা আসার আগে বলেছিলেন, নিজেকে ১২ বছর বয়সে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। যখন স্রেফ ক্রিকেট খেলার জন্য সবকিছু করতে তুমি’।
Discussion about this post