চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আজ রাওয়ালপিন্ডিতে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই প্রতিযোগিতায় এটি বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সাক্ষাৎ। আগের দুইবার দুই দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। ২০০২ সালে প্রথম দেখায় ১৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড, অন্যদিকে ২০১৭ সালে কার্ডিফের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। সেই জয় টাইগারদের প্রথমবার আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিল।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৫ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। বাংলাদেশ জিতেছে ১১ ম্যাচে, নিউজিল্যান্ডের জয় ৩৩ ম্যাচে, আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ পাঁচ দেখায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি মাত্র জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, সেটি এসেছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নেপিয়ারে।
এই ম্যাচকে ঘিরে বাংলাদেশ দলে চলছে নানা প্রস্তুতি। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিটনেস নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ দলের কোচ সিমন্স জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহর খেলা না খেলা নির্ভর করবে শেষ মুহূর্তের ফিটনেস টেস্টের ওপর। দলে ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ নতুন কিছু কৌশল নিয়ে ভাবছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে, সেটিও নির্ধারণ করবে একাদশ কেমন হবে।
আয়োজক দেশ হয়েও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচটা নিজেদের মাঠে খেলা হলো না পাকিস্তানের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা তাদের খেলতে হয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভারতের আপত্তি ও ক্রিকেট দুনিয়ায় তাদের প্রভাবের কারণেই পাকিস্তানকে এ ধরনের ভ্রমণ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ১৯ তারিখ নিজেদের প্রথম ম্যাচের পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলকে ফ্লাইটে উঠতে হয়, এরপর ম্যাচ শেষে দেশে ফেরার তোড়জোড়। একই সমস্যার মুখে পড়েছে বাংলাদেশও, ৩ দিনের বিরতিতেই দুবাই থেকে রাওয়ালপিন্ডি এসে মাঠের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে তাদের।
বিশ্রামের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। ‘এ’ গ্রুপের তিন দলের জন্য যেখানে ভ্রমণক্লান্তি এক বড় ইস্যু, সেখানে ভারত পাচ্ছে দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগ। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ ২ তারিখ, যেখানে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগে ভারত তাদের সমীকরণ জেনে যাবে ২৭ তারিখে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলের মাধ্যমে।
অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলোর ম্যাচ হচ্ছে শুধুই পাকিস্তানের মাঠে, যেখানে তারা তিন থেকে চার দিনের বিরতিতেই খেলতে নামছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি আইসিসির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কথা নতুন কিছু নয়। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সেই বিতর্ক নতুন করে সামনে এসেছে।
Discussion about this post