বাংলাদেশজুড়ে শুক্রবার সকালটা আতঙ্কে ভরপুর হয়ে ওঠে আকস্মিক ভূমিকম্পে। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে শুরু হওয়া কম্পনের মাত্রা ছিল প্রায় ৫ দশমিক ৭, কেন্দ্রস্থল ঘোড়াশাল বা নরসিংদীর কালিগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এলাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ দৌড়ে বেরিয়ে আসে নিরাপদ আশ্রয়ে। সেই কম্পনের দোলাচল এসে পৌঁছায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও, যেখানে চলছিল বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট।
মাঠে তখন ব্যাট করছিলেন আয়ারল্যান্ডের ডোহানি ও হ্যারি টেক্টর। শান্ত খেলার ছন্দ হঠাৎ থমকে যায় প্রেসবক্স দুলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে। সাংবাদিকদের দ্রুত নিচে নেমে আসতে দেখা যায়, একইসঙ্গে গ্যালারির দর্শকেরাও তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান নিরাপদ স্থানে। ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান ও এইড রেইনসফোর্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স পরে জানান, তার দলও মাঠে কম্পনের মুহূর্তে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আয়ারল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ কেউ নিরাপত্তার জন্য মাঠে চলে আসেন। কয়েক মিনিটের বিরতির পর খেলা আবার শুরু করা হলেও পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল।
এই পরিস্থিতিতেই জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার তাসকিন আহমেদ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন একটি হৃদয়স্পর্শী বার্তা। ঘটনাটিকে তিনি শুধু প্রাকৃতিক কম্পন হিসেবে নয়, জীবনের অনিশ্চয়তার একটি স্মরণবাণী হিসেবে দেখেছেন।
তাসকিন লিখেছেন, ‘এই ভূমিকম্প আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়… দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আর আশ্রয় একমাত্র আল্লাহর কাছেই। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।’ তার পোস্টটি স্বল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে, আর সমর্থকদের মাঝে তৈরি করে নতুন আলোচনার রেশ।










Discussion about this post