ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টেস্ট মিশনে সোমবার দুপুর পৌনে একটায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে শ্রীলঙ্কার পথে দেশ ছেড়েছেন মুমিনুল হকরা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর দলটির ঠিকানা হবে বিমানবন্দরের কাছেই নেগোম্বোতে। সেখানেই টিম হোটেলে তিনদিন ঘরবন্দি কোয়ারেন্টিন। এরপর কোয়ারেন্টিনের মধ্যেই দুইদিনের অনুশীলন।
ক্যান্ডির অদূরে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের দুটি টেস্ট। প্রথম টেস্ট শুরু ২১ এপ্রিল, দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৯ এপ্রিল থেকে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই দুই ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরবে টাইগাররা।
সেই মিশনে যাওয়ার আগে সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ দলের টিম লিডারের দায়িত্ব নিয়ে যাওয়া সাবেক ক্রিকেটার শোনালেন আশার কথা।
লঙ্কা সফরে কেমন করবে বাংলাদেশ…
যদি আমরা লাস্ট টেস্ট ভালো করি নাই। আমরা জানি আমাদের ক্যাপাবিলিটি আছে। যদিও আমরা নিউজিল্যান্ডে ভালো খেলতে পারিনি, কিন্তু শ্রীলঙ্কায় আলাদা পরিবেশে খেলব। আগেও খেলেছি, সেখানকার কন্ডিশনটা আমরা জানি। যদি আমরা জানিনা এর আগে ক্যান্ডিতে খেলছি কিনা, কিন্তু কলম্বোতে খেলেছি, সেখানকার কন্ডিশনটা জানা আছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে। আমরা যদি আমাদের সেএয়া ক্রিকেটটা খেলতে পারি, আমি মনে করি আমরা ক্যাপাবল।
কন্ডিশন প্রসঙ্গে…
কন্ডিশনটা আমরা জানি ওখানে এখন গরম থাকে বেশি। উইকেটটা ভালো থাকে। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের শ্রীলঙ্কা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমরা স্কিলের দিক থেকে পিছিয়ে নেই, ভালো দল। আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি, প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখতে পারি, তবে আশা করি ভালো করব।
ক্রিকেটারদের কী অবস্থা…
খেলোয়াড়রা অনেক ফিট। অনেক চেষ্টা করে তারা মাঠে গিয়ে পারফরম্যান্সটা কেন হচ্ছে না সেটি একটা বড় ব্যাপার। প্রসেসগুলো কিন্তু খারাপ বলব না আমি। দল হিসেবে খেলতে হবে আমাদের, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অনেক দেখেছি আমরা। এখনই সময় আমরা বাংলাদেশ দল হিসেবে খেলতে চাই।’
টার্গেট কি?
‘অবশ্যই আমরা চাই জিততে। রেজাল্ট কি হবে…। আমরা ওখানে সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। যে দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। পাঁচ দিনের খেলা এ কারণে সেশন বাই সেশন ধরে এগোতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে (উইন্ডিজের বিপক্ষে) আমরা চার দিন ডমিনেট করেও হেরে গেছি, এমনটা করতে চাইনা। লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে চাই।
আমার নিজস্ব আইডিয়া আছে, নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। আমি মনে করি সেভাবেই চিন্তা করবো। তাদের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় জানি। সবাই আমার কাছে পুরোনো, নতুন কেউ নাই। সবার সাথেই আমি কোন না কোনভাবে কাজ করেছি। সুতরাং আমি চেষ্টা করবো আমার পন্থা অবলম্বন করতে। আমি মনে করি ইন শা আল্লাহ আমি সেটা পারবো। যদিও সময় খুব বেশিনা, তারপরও যথেষ্ট সময় আছে। আশা করি ভালো কিছু করতে পারবো।
ভরসার নাম তরুণ ক্রিকেটাররা…
আমি তরুণ বলিনা, আমার কাছে সবাই সমান আসলে। যদিও তামিম, মুশফিক, মুমিনুলের অভিজ্ঞতা অনেক। তারপরও দায়িত্ব সবার সমান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে আপনি যখন নামবেন তখন দায়িত্বটা সবারই সমান। ভালো খেলার দায়িত্ব সবারই। এর আগে আমরা দেখেছি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরাজের অনবদ্য পারফরম্যান্স। আমার মনে হয় এটা সবারই মনে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে মিরাজ, তরুণ বয়সেই মিরাজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে টেস্ট জিতিয়েছে। আমাদের সব ক্রিকেটারের মধ্যেই এই সামর্থ্য আছে। এই জিনিসটা মাথায় নিয়েই খেলতে হবে, পজিটিভ, আক্রমনাত্মক ক্রিকেট। আমি সবসময় পজিটিভ ক্রিকেট খেলার কথা বলি, অ্যাটিচিউড অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে অ্যাটিচিউড আমি দেখেছি দুই বছর আগে। সেরকমটা দেখতে চাই, মাঠে লড়াই করবে, ফল কি হবে পরে দেখা যাবে।
Discussion about this post