জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে লক্ষ্য ছিল মাত্র ৪১ ওভারে ১০৬ রান। কিন্তু লজ্জায় ডোবাল মুশফিকুর রহীমরা। মাত্র ৫৮ রান তুলেই অলআউট তারা। এর অর্থ ডাকওয়াথ-লুইস পদ্ধতিতে ৪৭ রানে হারল দল। একইসঙ্গে এক ম্যাচ আগেই ২-০’তে সিরিজ জিতে নিল সুরেশ রায়নার ভারত।
তবে অভিষেকেই বাজিমাত করলেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের সামনে অসহায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। অভিষেকে দেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। আর ভারত ২৫.৩ ওভারে ১০৫ রান তুলে অলআউট। এটিই ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে গড়লো তারা। তারা করেছিল ১৯১।
মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সফরকারীরা ৫.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রান তুলতেই নেমে আসে বৃষ্টি, খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
ঘন্টা চারেক পর ফের শুরু হয়েছে খেলা। ওভার কমিয়ে করা হয়েছে ৪১।
প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আজিঙ্কা রাহানের (০) উইকেটটি তুলে নেন মাশরাফি। এরপর শুধুই তাসকিন ম্যাজিক! এরইমধ্যে অধিনায়ক সুরেশ রায়না করেছেন ২৭ রান।
এরপর ব্যাট হাতে দারুণ ব্যর্থ বাংলাদেশ। ১৭.৪ ওভারে ৫৮ রানে অলআউট তারা। ৪.২ ওভারে ৪ রান দিয়ে স্টুয়ার্ট বিনি নিয়েছেন ৬ উইকেট। ওয়ানডে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ম রানের ইনিংস। গত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরেই ৫৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ভারতের কাছে বৃষ্টি আইনে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ হবে ১৯ জুন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ২৫.৩ ওভারে ১০৫/১০ (উথাপ্পা ১৪, পুজারা ১১, রাইডু ১, রায়না ২৭, উমেশ ১৭; তাসকিন ৫/২৮, মাশরাফি ২/৩৫, সাকিব ১/৮, আল-আমিন ১/২৬)
বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ৫৮/১০ (তামিম ৪, এনামুল ০, মিঠুন ২৬, মুশফিক ১১, সাকিব ৪, মাহমুদুল্লাহ ০, নাসির ৫, জিয়া ০, মাশরাফি ২, তাসকিন ০*, আল-আমিন ০; বিনি ৬/৪)
ফল: ভারত ডাকওয়াথ-লুইস পদ্ধতিতে ৪৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: স্টুয়ার্ট বিনি
Discussion about this post