চিরপ্রতিদ্ধন্দী পাকিস্তানের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারে নি ভারত। তারপর বেশ উত্তেজনা ছড়াল। আর শেষ ওভারে মাত্র ২ বল বাকী থাকতে শহিদ আফ্রিদি ম্যাজিকে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ১ উইকেটের এক অবিস্মরনীয় সেই জয়।
রোববার এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বিরাট কোহলির দল ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলে ২৪৫ রান। ৫৬ রান করেন রোহিত শর্মা। ৫৮ রান আসে আম্বাতি রাইডুর ব্যাট থেকে। রবিন্দু জাদেজা ৪৯ বলে করেন ৫২ রান। সাইদ আজমল ৩ উইকেট এবং দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ হাফিজ ও মোহাম্মদ তালহা। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান বেশ ভালই এগোচ্ছিল। আহমেদ শেহজাদ করেন ৪২ রান। মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে ৭৫। কিন্তু এরপর হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে দল। রবিচন্দন অশ্বিন আর অমিত মিশ্র’র বোলিং ম্যাচে ফেরায় দলকে।
কিন্তু চমক যেন জমা ছিল শেষ ওভারের জন্য। জিততে তখন চাই ১০ রান। হাতে ২ উইকেট। কিন্তু প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন সাইদ আজমল। এরপর অাফ্রিদি একাই বদলে দেন দৃশ্যপট। ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুই ছক্কা হাকিয়ে দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়। আফ্রিদিকে ঘিরে শুরু হয় উল্লাস। জয়ের নায়ক যে তিনিই।
এর আগে ব্যাটে বলে জমাট শুরুই হয় ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াইয়ের। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তান বেছে নেয়। শুরুতেই উইকেট হারায় ভারত। স্কোরবোর্ডে ১৮ রান উঠতেই ফিরে যান ওপেনার শিখর ধাওয়ান। স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজের বলে এলবিডব্লু হয়ে ১০ রান করে ফিরেন ধাওয়ান।
এই ম্যাচে ভারত-পাকিস্তান দু’দলই তাদের একাদশে বদল আনে। পাকিস্তান দলে অভিষেক হয় ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ তালহার। দীর্ঘদেহী এই ফাস্ট বোলার দুটো টেস্ট খেললেও এই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলেছেন। ওদিকে ভারতীয় দলের একাদশে লেগস্পিনার অমিত মিশ্র জায়গা পান।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। যারমধ্যে পাকিস্তান জিতেছে ৭২টি। ভারত ৫০ বার। আর বাকি ৪টি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ৫০ ওভারে ২৪৫/৮ (রোহিত ৫৬, রাইডু ৫৮, কার্তিক ২৩, জাদেজা ৫২*; আজমল ৩/৪০, তালহা ২/২২)
পাকিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৪৯/৯ (শারজিল ২৫, শেহজাদ ৪২, হাফিজ ৭৫, মাকসুদ ৩৮, আফ্রিদি ৩৪*; অশ্বিন ৩/৪৪, মিশ্র ২/২৮, ভুবনেশ্বর ১/৫৬)
ফল: পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ হাফিজ।
Discussion about this post