রীতিমত অবিশ্বাস্য এক ব্যাপার!
৩ উইকেটে ১২০ থেকে ১০ উইকেটে ১৪৩ অল আউট। গজনফারের ঘূর্ণিতে সর্বনাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ৯২ রানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ৬.৩ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন গজনফার।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন শান্ত। সৌম্য ৩৩ ও মিরাজ ২৮ রান করেন। ১১ রান করেন হৃদয়। আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। ১২ রানে শেষের সাত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ দল
শান্ত যখন আউট তখন বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১২০। এরপর শুরু উইকেট পতনের মিছিল। ১৩৯ হতে নাই হয় যায় ৯ উইকেট। তার মধ্যে ১৩২ থেকে ১৩৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। দ্রুত বিদায় নেন মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ফেরার পর রিশাদ, তাসকিন ও হৃদয়। হৃদয় ১১ রান করেন। গজনফার ফিরে এসে শরীফুলকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। তিনি ৬.৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৬ রানে একাই নেন ৬ উইকেট”
২৩৫ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়েও ৯২ রানের সহজ জয় পেল আফগানিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল দলটি।
শারজায় অনুষ্ঠিত দিবা-রাত্রির ম্যাচে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হয়ে ২৩৫ রান তুলে আফগানিস্তান। ৪টি করে উইকেট নেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মোহাম্মদ নবি। ৫২ রান আসে হাশমতুল্লাহর ব্যাটে। শেষ দিকে খারোতি ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। গুলবাদিন নইব ২২ ও সেদিকুল্লাহ ২১ রান করেন।
এরপর জবাবে নেমে বাংলাদেশ ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ৩ রানে ফেরেন তানজিদ তামিম। শুরুটা ভাল করে ৩৩ রানে আউট সৌম্য সরকার। এরপর লড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তিনি ৪৭ রানে ফিরতেই বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলে।
এর আগে আফগানদের কম রানে আটকানোর সুযোগ ছিল। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। শতরানের জুটি গড়ে লড়াকু সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন নবি-হাশমতুল্লাহ। এরপর প্রতিরোধ গড়েন হাশমাতউল্লাহ শাহিদি ও মোহাম্মদ নবি। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০৪ রান। শাহিদি ৯২ বলে ৫২ ও নাবি ৭৯ বলে করেন ৮৫ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হবে আগামী ৯ নভেম্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (গুরবাজ ৫, সেদিকউল্লাহ ২১, রেহমাত ২, শাহিদি ৫২, ওমারজাই ০, নাইব ২২, নাবি ৮৪, রাশিদ ১০, খারোটে ২৭*, ফাজানফার ০, ফারুকি ০; শরিফুল ৯.৪-০-৩৪-১, তাসকিন ১০-০-৫৩-৪, মুস্তাফিজ ১০-০-৫৮-৪, মিরাজ ১০-০৩০-০, রিশাদ ৮-০-৪৪-০, মাহমুদউল্লাহ ২-০-১১-০)
বাংলাদেশ: ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ (তানজিদ ৩, সৌম্য ৩৩, শান্ত ৪৭, মিরাজ ২৮, হৃদয় ১১, মাহমুদউল্লাহ ২, মুশফিক ১, রিশাদ ১, তাসকিন ০, শরিফুল ১, মুস্তাফিজ ৩*; ফারুকি ৪-০-২২-০, গাজানফার ৬.৩-১-২৬-৬, নাবি ৪.২-০-২৩-১্, ওমারজাই ৪.৪-০-১৬-১, নাইব ১-০-৯-০, রাশিদ ৮-০-২৮-২, খারোটে ৬-০-১৬-০)
Discussion about this post