ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বয়স মাত্র ২২। কিন্তু এরমধ্যেই নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্বের চাপ নিয়ে ফেলেছেন। ‘এ’ দল বা হাই পারফরম্যান্স দলতো বটেই, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে বড় পরীক্ষায় দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে মুগ্ধ সতীর্থ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনি তো মনে করেন, ভবিষ্যতে জাতীয় দলকেও নেতৃত্ব দেবেন শান্ত।
চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগে শান্ত ও সাইফউদ্দিন খেলছেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর হয়ে। শান্তকে শুধু লড়াকু ক্রিকেটারই নয়, লড়াকু অধিনায়ক হিসেবেও দেখছেন সাইফউদ্দিন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, শান্ত শুধু ফাইটার ক্রিকেটার না, ফাইটার ক্যাপ্টেনও। কারণ সে মাঠে ফিল্ড সেটআপ, ক্যাপ্টেনসি, দলকে যেভাবে বুস্ট আপ করে- সত্যি প্রশংসনীয়। আমি তো ছোটবেলা থেকে, সেই অনূর্ধ্ব-১৫, ২০১০ সাল থেকে দেখে আসছি ওকে এবং মিরাজকে একসাথে। তখন হয়ত মিরাজ বেশি ক্যাপ্টেনসি করত। তারপরও মিরাজ চোটে থাকলে বা অসুস্থতার কারণে ম্যাচ মিস করলে বেশিরভাগ সময় শান্তই ক্যাপ্টেনসি করত।’
শান্তর নেতৃত্বগুণের পাশাপাশি বড় সুবিধা হতে পারে তার ব্যাটিং। চলমান টুর্নামেন্টে হাঁকিয়েছেন দারুণ এক শতক। ব্যাট হাতে দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আমরা জানি, ভবিষ্যতে, মাশাআল্লাহ যেভাবে ব্যাটিং করছে… যদি ধারাবহিকতা থাকে তাহলে ৪-৫ বছর পর নেতৃত্ব হয়ত ও-ই পাবে। এইচপি, ‘এ’ দল, হাই পারফরম্যান্স দল- সব জায়গায় নেতৃ্ত্ব দিয়ে এসেছে। ওর ভেতরে সেই গুণাবলী আছে বিধায় দায়িত্ব পাচ্ছে।’
রাজশাহী বলার মত সাফল্য না পেলেও শান্তর অধিনায়কত্বে রীতিমত মুগ্ধ সাইফউদ্দিন, ‘ও স্বাভাবিক ছিল। আমি আর মেহেদী রাজশাহী টিমের মূল বোলার। তো আমরা যখন ৮ ওভারে ৮০ রান দেই… আসলে স্বাভাবিক একটা অসাধারণ ইনিংস খেলা ক্রিকেটারকে জয় উপহার দিতে পারিনি। আমার নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছিল। ও যেই ইনিংস খেলেছে, জয় প্রাপ্য ছিল।’
Discussion about this post