কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে যখন দিনের খেলা শেষ হলো, তখন বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে নিশ্চয়ই নেমে এসেছে এক গুমোট নীরবতা। কারণ আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক কঠিন বাস্তবতার সামনে-ইনিংস হারের শঙ্কা!
প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রান করার পর, শ্রীলঙ্কা ব্যাট হাতে তুলে নেয় ৪৫৮ রান, এগিয়ে যায় ২১১ রানে। নিসাঙ্কার ১৫৮ এবং কুসাল মেন্ডিসের ৮২ রানের ইনিংস টাইগারদের চেপে ধরে। একমাত্র স্বস্তির জায়গা ছিল তাইজুল ইসলামের ৫ উইকেট-দেশের বাইরে এটি তার পঞ্চম বার।
কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও পুরনো চিত্র—ব্যাটিং ধস। চা বিরতির আগে এনামুল হক বিজয় (১৯) আউট হলে শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। সাদমান (১২), মুমিনুল (১৫), শান্ত (১৯), মুশফিক (২৬)—কেউই থিতু হতে পারেননি।
দিনের শেষ বলেই মেহেদী হাসান মিরাজ (১১) আউট হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে, রিভিউ নিয়ে নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। উইকেটে কেবল টিকে আছেন লিটন দাস, তিনি ১৩ রানে অপরাজিত। কিন্তু তার সামনে এখন পাহাড়সম দায়িত্ব-টেলএন্ডারদের নিয়ে ইনিংস পরাজয় ঠেকানো।
শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণ ছিল চওড়া ও পরিকল্পিত। জয়াসুরিয়া ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। রাত্নায়েকে ও আসিথা ফার্নান্দোর ঝুলিতে গেছে ১টি করে উইকেট।
চতুর্থ দিনে লড়াইটা এখন শুধু টিকে থাকার। এই সিরিজে এখনো জয়শূন্য বাংলাদেশ, আরেকটি হার মানে সিরিজ হার নিশ্চিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৪৭/১০
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৫৮/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮.৪ ওভারে ১১৫/৬ (সাদমান ১২, এনামুল ১৯, মুমিনুল ১৫, শান্ত ১৯, মুশফিক ২৬, লিটন ১৩*, মিরাজ ১১; আসিথা ৮-১-২২-১, ভিশ্ব ৬-৩-১৬-০, জয়াসুরিয়া ১৫-২-৪৭-২, ধানাঞ্জায়া ৪-১-১৩-২, দিনুশা ৩-১-৭-০, রাত্নায়াকে ২.৪-০-১০-১)
Discussion about this post