আপাতত বিশ্রামের মেজাজে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু খুব বেশিদিন অবসর আমেজে থাকার সুযোগ নেই। সামনেই টাইগারদের ব্যস্ত সূচি। ১ জুন থেকে শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। তার আগে আইসিসির ঘোষণা অনুযায়ী দল ঘোষণা করতে হবে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে। কিন্তু তার আগেই ত্রিদেশীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। যেখানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি থাকছে নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করতে হবে ১২ মে’র মধ্যে।
আয়ারল্যান্ড সফরের আগে ইংল্যান্ডের সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। দশদিনের সেই প্রস্তুতি পর্বের জন্য কয়েকজন বাড়তি ক্রিকেটার নিয়ে ইংল্যান্ড যাবে টাইগাররা। এ,মনই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান আকরাম খান। সাম্প্রতিক কিছু সিরিজে এমনটাই করছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
যেমনটা বলছিলেন তিনি, ‘দেখা যায় সফরে গিয়ে অনেকেই ইনজুরিতে পড়েন। আবার অফ ফর্মে থাকেন অনেকে। এ কারণেই প্রতিটি সিরিজে দলের সঙ্গে কিছু বাড়তি খেলোয়াড় নেওয়া হচ্ছে। আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে আমরা তাই করবো।’ তিন থেকে চারজন বাড়তি ক্রিকেটার যেতে পারেন দলের সঙ্গে।
গত নিউজিল্যান্ড সফরেও তাই করেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। এর উপকারও পেয়েছে দল। কয়েকজন ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লেও হাতে বাড়তি ক্রিকেটার থাকায় সমস্যা হয়নি। অবশ্য ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের কারণে ক্রিকেটার পাওয়া কঠিনই হবে এবার।
আয়ারল্যান্ড সফর ও ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়বে ২৬ এপ্রিল। সাসেক্সে ক্যাম্প শেষে আয়ারল্যান্ড যাবে দল ৭ মে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ অন্য কোচিং স্টাফের বিদেশি সদস্যরা সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। লঙ্কা সফর শেষেই সবাই ছুটিতে গেছেন।
ক্রিকেটাররা অবশ্য ছুটি কাটাতে পারছেন না। ১২ এপ্রিল শুরু ঢাকা লিগ। তা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে। সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএল থেকে সরাসরি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ঘরের মাঠে ব্যস্ততা টাইগারদের। জুলাইয়ে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টুয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসবে পাকিস্তান দল। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া দলের আসার কথা রয়েছে। তারপরই দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টুয়েন্টির খেলতে দল যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে।
Discussion about this post