সিলেট যেন আজ ক্রিকেটের চেয়ে বেশি খেলেছে প্রকৃতি। সকালটা শুরুই হয় বৃষ্টির সঙ্গে। মাঠে নামতে পারেনি খেলোয়াড়রা, গ্যালারিতে অপেক্ষায় ছিল হতাশ দর্শকরা। দিনের অর্ধেক সময় চলে যায় অপেক্ষায়। আর বাকি অর্ধেকটা-অসংখ্য ছেঁড়াখোঁড়া মেঘ আর আলোর সংকটে কাটে দ্রুতই। তবে এই সীমিত সুযোগেও বাংলাদেশ হাতছাড়া করেনি ম্যাচে ফিরে আসার সম্ভাবনা।
বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ১১২ রানের লিডে, স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। উইকেট হারালেও থেকে গেছেন শান্ত। হাল না ছেড়ে ঠান্ডা মাথায় জোড়া দিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি।
ক্রিজে নামের মতোই শান্ত নাজমুল হোসেন। রানের গতি বাড়েনি, প্রয়োজনও ছিল না। বরং প্রয়োজন ছিল দৃঢ়তায় টিকে থাকার। ১০৩ বলে ৭ চারে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর সঙ্গী জাকের আলিও থিতু হয়েছেন, ৬০ বল খেলে করেছেন ২১ রান। তাদের ৩৯ রানের জুটিটা হয়তো দীর্ঘ নয়, কিন্তু কঠিন সময়ে দলের জন্য নির্ভরতার এক প্রতিচ্ছবি।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই মাঠ ঢেকে যায় বৃষ্টির চাদরে। তিন ঘণ্টা কোনো বল গড়ায়নি। এরপর খেলা শুরু হলেও বেশিক্ষণ টিকেনি। শেষপর্যন্ত দিনের খেলা শেষ হয়ে যায় আলোকস্বল্পতায়। পুরো দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৪৪ ওভার, আর তাতে বাংলাদেশ যোগ করেছে ১৩৭ রান।
মাহমুদুল হাসান জয় (৩৩), মুমিনুল হক (৪৭) আর মুশফিকুর রহিম (৪)-তিনজনের কেউই ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। বিশেষ করে মুশফিকের ব্যর্থতা চোখে লাগার মতো। তবে শান্তর ইনিংস সে হতাশা কিছুটা হলেও মুছে দিয়েছে।
দুই ইনিংসেই ধারাবাহিক ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তাঁকে কিছুটা সহায়তা দিয়েছেন ভিক্টর নিয়াউচি, যিনি পেয়েছেন একটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯১/১০
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৭৩/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৯৪/৪ (জয় ৩৩, মুমিনুল ৪৭, শান্ত ৬০*, মুমিনুল ৪৭, মুশফিক ৪, জাকের ২১*; নিয়াউচি ১৩-৪-২৮-১, মুজারাবানি ১৫-৫-৫১-৩, এনগারাভা ১৩-০-৫৫-০, মাধেভেরে ৮-১-৩২-০, মাসাকাদজা ৮-৩-১৩-০)
Discussion about this post