অবশেষে গুঞ্জন সত্য হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেছেন। নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিসিবির বোর্ড মিটিং এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
এরমধ্য দিয়ে বিসিবিতে পাপনের এক যুগের অধ্যায় শেষ হলো। নানা কারণে সমালোচিত পাপন এবার সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন। সেই ২০১২ সালে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিসিবিতে আসেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে নির্বাচিত হন। তারপর আরও দুইবার বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি পদে থাকার কথা ছিল পাপনের। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকেও পদত্যাগ করতে হলো।
সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এর আগে দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল ও দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল অব্দি ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে পদত্যাগ করে বিদায় নেন তিনি।
ফারুক আহমেদ বিসিবির পরিচালক পদে ছিলেন না। এ কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে মনোনীত করে পরিচালক হিসেবে আনা হলো বিসিবিতে। তারপরই বিসিবি পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হলেন।
বাদ দেওয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে আসা জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলম ববি। জালাল ইউনুস স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও ববিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আজ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বহুল আলোচিত বিসিবি সভয়ে যোগ দেন আট পরিচালক- মাহবুব আনাম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, কাজী ইনাম আহমেদ, সাইফুল আলম স্বপন, ইফতেখার রহমান মিঠু, সালাউদ্দিন চৌধুরী ও ফাহিম সিনহা। তাদের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত নতুন দুই পরিচালক ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
সভায় ছিলেন না বর্তমান পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ওবেদ নিজাম, তানভীর আহমেদ টিটু, আ জ ম নাছির, গাজী গোলাম মতুর্জা, শেখ সোহেলসহ ১৩ পরিচালক। তারা পরের দুটি সভায় না থাকলে পরিচালক পদ বাতিল হবে।
এ অবস্থায় আইসিসি ও বিসিবি গঠনতন্ত্র মেনেই বিসিবি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া।
Discussion about this post