আগস্টে লিগ হওয়া না হওয়া নির্ভর করছে বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর। সেটা নিশ্চয়ই বোর্ড সভা ছাড়া সম্ভব নয়। বিসিবির সেই সভা আজই। এ সভায়ই হয়তো নির্ধারিত হবে প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্য। বিসিবি সভাপতি যতই চান না কেন, জুলাইতে লিগ শুরুর সম্ভাবনা খুব কম। কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেগুলো অতিক্রম করা কঠিন।
প্রসঙ্গত, আগস্টের প্রায় পুরো সময় বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল থাকবে দেশের বাইরে। অন্তত ৩০ জন ক্রিকেটার ওই দু’দলের হয়ে খেলতে বিদেশে চলে যাবেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ‘এ’ ও যুব দল বাইরে থাকাকালে ক্লাবগুলো অবশ্যই খেলতে রাজি হবে না। প্রশ্ন উঠতে পারে লিগ তো জুলাইতে, আর ‘এ’ ও যুব দল বাইরে চলে যাবে আগস্টে।
-তাহলে সমস্যা কী? সমস্যা আছে। ক্লাবগুলো কিছুতেই ‘এ’ ও যুব দলের ক্রিকেটারদের ছাড়া খেলতে রাজি হবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাইতে লিগ শুরু করলে সর্বোচ্চ তিন রাউন্ড হওয়ার পর লিগ বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ আজ থেকে দলবদল শুরুর কথা থাকলেও তা আগেই স্থগিত হয়ে আছে। ক্লাবগুলো আকসু রিপোর্টের পর দলবদল করার চিন্তায় ডুবেছিল। নতুন করে তারিখ ঘোষণার আগে তাদের প্রস্তুতির জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। আর তাই অন্তত এক সপ্তাহের নোটিসের আগে দলবদল অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তার মানে নতুন তারিখ দিলেও সেটা ৮-১০ জুলাইয়ের আগে সম্ভব নয়। আর ১০ জুলাই দলবদল হলে লিগ শুরু করতে করতে আরও অন্তত ৮-১০ দিন। এতে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের আগে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আর ওই সময় শুরুর অর্থ দুই থেকে তিন ম্যাচ খেলার পর ‘এ’ ও যুব দলের বিদেশ সফর আর ঈদের জন্য লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়া। কাজেই এটা পানির মতো পরিষ্কার, শেষ পর্যন্ত ওই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই হয়তো লিগ মাঠে গড়াবে। তার আগে নয়।
এদিকে বুধবার বোর্ড সভায় প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্য নির্ধারণের পাশাপাশি বোর্ড নির্বাচন, জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটি গঠন ও বিশ্ব টি-টুয়েন্টির ভেন্যু নিয়েও আলোচনা হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়ে আলোচনা এবং সম্ভাব্য দিন-তারিখ ঠিক করা হতে পারে।
নির্বাচকদের মেয়াদকাল শেষ। প্রধান নির্বাচক আকরাম খান পদ থেকে সরে বোর্ড কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তার বিষয়েও আলোচনা হবে। নতুন প্রধান নির্বাচক এবং একজন তৃতীয় সদস্য মনোনয়নের বিষয়েও কথা হবে।
Discussion about this post