বছরখানেক আগে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। আত্মপ্রকাশের পর সোমবার তারা প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল। ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের ওয়াচডগের ভুমিকায় থাকার দাবি করে এই সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম। সোমবার দুপুরে রাজধানীর এক হোটেলে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম-সাংগঠনিক ব্যর্থতা, দুনীর্তি এবং স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ করেন।
এই সময় সদস্য সচিব মোস্তাকুর রহমান, নিবেদিতপ্রান ক্রিকেট সংগঠক লুৎফর রহমান বাদল, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, বিসিবির সাবেক কর্তা এবং জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার কর্নেল অবঃ আব্দুল লতিফ, সাবেক বোর্ড কর্তা শাহ নুরুল কবির শাহীন এ সংবাদ সন্মেলনে কথা বলেন।
নিজের প্রারম্ভিক বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন-‘মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়টা কাটছে চরম ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে অনিয়ম-দুর্নীতি, গোষ্ঠীস্বার্থ ও সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা আজ জেঁকে বসেছে। দ্বিধা বিভক্ত জাতি মুলত শুধুমাত্র ক্রিকেটকে ঘিরেই একই মোহনায় মিলিত হয়। পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার-এক শ্লোগানে সুর মেলানোর ক্ষেত্র তৈরি করে দেয় আমাদের প্রিয় ক্রিকেট। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত লাল-সবুজ পতাকা যখন ক্রিকেটের আনন্দে মানুষের হাতে দোলা খায়, তখন আমাদের বুকে আরেকবার সংগ্রামী সাহসের সঞ্চার হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের বেহাল দশায় ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আবেগে ভাটার টান।
আর এই ব্যর্থতার অধিকাংশ দায়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। ঘরোয়া ক্রিকেট অনেকদিন ধরে এলোমেলো। জেলা পর্যায়েও ক্রিকেট এখন অনিয়মিত। ঘুণে ধরা ক্রিকেট প্রশাসন ব্যর্থ আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে। ক্রিকেট নিয়ে বিশ্বব্যাপী ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। সারাবিশ্বে যেখানে ক্রিকেট বানিজ্যিক মূল্য ক্রমেই বাড়ছে; বাংলাদেশ সেখানে মূল্য হারিয়ে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তাকেও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিসিবি কর্মকর্তাদের সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রকৃত ক্রিকেট সংগঠকদের অনেকেই আজ এই খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে অšর্তদ্বন্দ্বের কারনে বিসিবির ভাবমুর্তি এখন দেশেও অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। আদালতকে ভুল বুঝিয়ে অবৈধ একটি গঠনতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সংগঠক বিসিবিকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে রেখেছে। এমনকি সরকারি দলের ব্যানারে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ক্ষমতাসীন দলের ক্রীড়া সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলও স্বার্থান্বেষী এই গোষ্টীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন বিভিন্নসময়ে, যা আপনারা পত্রপত্রিকায় দেখেছেন।
এই গোষ্ঠীর অদক্ষতার কারণে যাবতীয় সম্ভাবনা সত্ত্বেও ক্রিকেট আজ জৌলুষ হারাতে বসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেট অন্তপ্রান্ত সংগঠক লুৎফর রহমান বাদল বোমা ফাটানো অভিযোগ করে বলেন-‘বিপিএল কেলেঙ্কারির আংশিক বিচার হয়েছে। বোর্ড সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ এ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। যাদের নাম ও ছবি পত্রিকায় এসেছে। কিন্তু বিসিবি তাদের বিচার করেনি। এতেই প্রমান হয়েছে, বোর্ড একচোখা নীতিতে ক্রিকেট চালাচ্ছে।’
তিনি আরো অভিযোগ করেন-‘বোর্ডের এক পরিচালক একই সঙ্গে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ ক্লাবের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তিনি বোর্ডকে ব্যবহার করছেন। নিজের ক্ষমতাকে তিনি অপব্যবহার করছেন।’
বিসিবির সমালোচনা করে বাদল জানান-‘মুখচেনা এক পরিচালকের প্রতিষ্ঠানের কাছে কম মূল্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের টিভি রাইটস বিক্রি করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেস্ট খেলুড়ে দেশের টিভি সম্প্রচার মুল্য যখন বাড়ছে, তখন বাংলাদেশে এই মূল্য কমছে! এই পরিচালক এবং বোর্ডের অযোগ্যতার এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রমান। এই বোর্ডের কাছে ক্রিকেট উন্নয়ন মুখ্য নয়, নিজেদের বানিজ্যিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই তারা ক্রিকেট বোর্ডকে ব্যবহার করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আনেন পরিষদ নেতারা-
বিপিএল লজ্জা:
টুর্নামেন্টের নাম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কিন্তু বোর্ড কর্তাদের অদক্ষতা এবং অযোগ্যতায় আমরা দেখলাম মিডিয়া এই লিগের নতুন নাম দিয়েছে-‘বাংলাদেশ প্রহসনের লিগ’!
দেশে এবং বিদেশে যে হারে এই টুর্নামেন্ট থেকে লজ্জা-বদনাম ও কেলেঙ্কারি কুড়িয়েছে ক্রিকেট বোর্ড তাতে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। অথচ দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হতে পারত বিপিএল। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের অর্থলোভী এবং অদক্ষ কর্তাদের কারনে বিপিএল প্রকৃত মর্যাদা হারিয়েছে। বিদেশি কোন ক্রিকেটার এখন এই লিগের নাম শুনলেই দু’পা পিছিয়ে যান। দুই মৌসুম শেষ হয়ে গেল বিপিএলের। অথচ এখনো এই লিগে খেলা বিদেশি অনেক ক্রিকেটারের টাকা কড়ি শোধ করা হল না। বিপিএলের মাধ্যমে দেশের ক্রিকেটের অবনতি আর বদনাম হয়েছে আর বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মচারি হিসেবে খ্যাত কর্তা ব্যক্তিদের পকেট ভারি হয়েছে। বিপিএলে দুর্নীতির গোমর তো স্বয়ং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডই ফাঁস করে দিয়েছে। কোটি কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে এই টুর্নামেন্ট ক্রিকেটারদের জন্য ফাঁদ তৈরি করে। কিন্তু সেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে গড়িমসি শুরু হয়। জুয়াড়ি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে ক্রিকেট দল বিক্রি করে ক্রিকেট বোর্ড তো দেশের ক্রিকেটকেই বিক্রি করে দিল! ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারি এখন বাংলাদেশকে মাথায় নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ঠিকমতো পরিচালিত করতে না পারার ব্যর্থতার জন্যই সম্ভাবনার বিপিএল এখন কেলেঙ্কারির বোঝায় পরিণত। বিপিএলে খেলে আমাদের নতুন নতুন ক্রিকেটার বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা ছিল। অথচ এখন এই বিপিএল কেলেঙ্কারিতে পড়ে আমরা দেশের সেরা প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে হারিয়েছি। ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে আরও অনেক ক্রিকেটারের।
বিপিএল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের আংশিক বিচার হয়েছে। বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এই কেলেঙ্কারিকে জড়িত ছিলেন। যাদের নাম-ছবি আমরা শীর্ষসারির পত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু বিসিবি তো তাদের বিচার করল না। এটাই প্রমান করে এই বোর্ড একচোখা নীতি নিয়ে ক্রিকেট চালাচ্ছে।
বন্ধুহীন বিসিবি:
আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে মাঠের পারফরমেন্সের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ক্রিকেট কুটনৈতিক সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতেই সবাই নিজ দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বলা যেতে পারে এই মূহূর্তে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কূটনীতির মহলে বাংলাদেশ বন্ধুহীন। অথচ টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তি এবং অন্যান্য সময় আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে যে সকল বন্ধু রাষ্ট্র ছিল, আজ তা শূণ্যের কোটায়। আর তাই ক্রিকেটের প্রতিটি আর্ন্তজাতিক ফোরাম, বৈঠক থেকে শূণ্য হাতে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। একসময় ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া-ভারতের মতো প্রতিষ্ঠিত নিয়মিত ক্রিকেট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন বাংলাদেশের সঙ্গে এই শক্তিমানদের কেউ খেলতে আগ্রহী নয়। আইসিসির নতুন নিয়মে এখন দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতেই দুই দেশের ক্রিকেট সিরিজ হয়ে থাকে। কিন্তু চারধারে সবার সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে ফেলায় এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতায় বসার অবস্থানেই নেই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত লোভ ও পদ প্রাপ্তির আকাঙ্খায় ক্রিকেট বোর্ড অতীতের অনেক বন্ধু রাষ্ট্রকে শত্র“তে পরিণত করেছে।
টেস্ট মর্যাদা নিয়ে নিত্যদিনই বাংলাদেশকে বিভিন্ন সমালোচনা ও শ্লেষপূর্ণ কথা শুনতে হচ্ছে। আইসিসিতে যেভাবে ক্রমাগত বাংলাদেশ ‘বন্ধুহারা’ হয়েছে তাতে এখন বহু পুরানো সেই প্রশ্নটা ফের উঠলে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা কঠিন সংকটে পড়বে। আশপাশ থেকে কারো সমর্থনই মিলবে না। কারণ পুরানো সব বন্ধুরা যে এখন চরম শত্রু!
প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর সঙ্গে ক্রিকেট সিরিজ না হওয়ার কারণে দেশের ক্রিকেট উন্নয়ন বঞ্চিত হচ্ছে। ক্রিকেট বোর্ডের আয়-রোজগার করে যাচ্ছে।
সাংবাদিক বন্ধুরাই রিপোর্ট করেছেন যে এফডিআর ভাঙিয়ে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যয় নির্বাহ করা হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া ফেডারেশনের আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারটা এতেই অনুমিত।
টিভি রাইটসের মুল্যহ্রাস:
যে কোন দেশের ক্রিকেটের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশটা আসে খেলা সম্প্রচারের টিভি রাইটস থেকে। কিন্তু লজ্জাজনক বিষয় হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের টিভি রাইটস কেনার আগ্রহই দেখাচ্ছে না কেউ! অযোগ্য লোকজনের ভিড়ে ক্রিকেট বোর্ড ভরে গেছে। একটি টেষ্ট খেলুড়ে দেশের টিভি রাইটস কোন প্রতিষ্ঠান কিনতে চায় না-মার্কেটিংয়ে এর বড় অযোগ্যতা আর কি হতে পারে।
নিম্বাসের সঙ্গে চুক্তি মাফিক আমাদের প্রাপ্য ১১৮ কোটি টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে এই বোর্ড। এই বিপুল অংক আদায়ের ব্যাপারে আদালতে পর্যন্ত যেতে রাজি হননি ক্রিকেট কর্তারা। কেন এবং কার স্বার্থ রক্ষায় বিসিবি এই ন্যায্য অর্থ আদায়ের ব্যাপারে নিশ্চুপ হয়ে গেল-সেই রহস্য আজ সবার জানা।
বোর্ডে প্রহসনের নির্বাচন:
নির্বাচনের আগে বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনী নিয়ে যা হয়ে গেল সেটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। স্বীয় স্বার্থে গঠনতন্ত্রে অযৌক্তিক কিছু বদল এনে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মাসলম্যানদের শক্তিমত্তা দেখিয়ে একতরফা ভাবে নির্বাচনের নামে বিসিবিতে যা হল-সেটা প্রহসন ছাড়া আর কি! বোর্ডের এই পরিচালকরা এতই যোগ্যতর (!) যে কেউ তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনেই দাড়ালেন না। আসলে নির্বাচনে যাতে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারে। অন্য কেউ অংশ নিতে পারে-সেই কুটকৌশল এঁকেই বিসিবির নির্বাচনের নীল-নকসা সাজানো হয়েছিল। আমরা দেখলাম সরকারের প্রভাব ও বলয়কে কাজে লাগিয়ে রাতারাতি রাজনীতিবিদরা কিভাবে ক্রিকেট সংগঠক সেজে বোর্ড পরিচালক হয়ে উঠলেন। জেলা ও ক্লাব কাউন্সিলর তৈরিতে যে ভানুমতির খেলা চলল-সেটা বিস্ময়কর। ভোট নিশ্চিত করতে এক ক্লাবের দুই ভোট-এমন আজগুবি নীতিও দেখলাম আমরা বিসিবির এই একতরফা নির্বাচনে।
দূর্নীতি এবং দূর্নীতি:
ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনার ভার নিয়েই কর্তারা এখান থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা নিচ্ছেন। প্রায় সবকাজই দেয়া হচ্ছে বিনা টেন্ডারে। বিশাল বাজেটের এসব কাজ বিনা টেন্ডারে মুখচেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাগিয়ে দিয়ে বিসিবির কর্মকর্তারা এখান থেকে টু-পাইস কামিয়ে নিচ্ছেন। বিসিবি থেকে এভাবে ব্যবসায়িক ফন্দি-ফিকির করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বিষয়টা এখন ওপেন সিক্রেট। ক্রিকেট উন্নয়নের শ্লোগান দিয়ে বিসিবিতে আসা ভুঁইফোঁড় কর্মকর্তা ক্রিকেট বোর্ডকে নিজেদের ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত করে ফেলেছেন। মাঠ পরিচর্যার কাজ, ঘাস স্থাপনের কাজ, বিজ্ঞাপনের কাজ-ইত্যাদি কাজে বিসিবির বর্তমান কমিটির কয়েকজন কর্মকর্তার ভূমিকা এখন লুটেরার মত!
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই আমরা দেখলাম পত্র-পত্রিকায় বিসিবির কর্তাদের দুর্নীতির বিশাল চিত্র দেখতে পেলাম। হসপিটালিটি ও কর্পোরেট বক্স বিক্রির খাতে বিপুল অংকের দুর্নীতি হয়েছে। এসব বক্স বিক্রির লেনদেন এবং মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে তৎপর দেখা গেছে বিসিবির কয়েকজন পরিচালককে। কর্পোরেট বক্সে সহায়তাকারি স্বেচ্ছাসেবিদের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ থেকেও টু-পাইস কামিয়ে নিয়েছেন পরিচালকরা। স্টেডিয়ামে জেনারেটর সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মুখচেনা পরিচালক ও কর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে। এই প্রতিষ্ঠানের নিচুমানের জেনারেটরের কারনে স্টেডিয়াডে খেলা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশন কনসার্টের নামেও চলে হরিলুট। এই কনর্সাটকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হচ্ছে এটা জানতে পেরে আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের হোস্ট ডিরেক্টরকে ই-মেইল করেন। সেখানে তিনি স্পষ্ঠ জানিয়ে দেন- টুর্নামেন্টের কাজে জড়িত কেউ যাতে এই কনসার্টে না যান।
সেলিব্রেশন কনসার্টের নামে দুর্নীতির কলঙ্ক আইসিসি নিজের কাঁধে চায়নি তাই এই নিষেধাজ্ঞা।
Discussion about this post