স্বপ্নের ফানুস নয়, বাস্তবতার জমিনে পা রেখেই বিশ্বকাপ মিশনে দেশ ছাড়লে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এবারের লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই মিশনে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা ছাড়ার কথা মেয়েদের। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে এবার বেশ প্রস্তুত টাইগ্রেসরা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও আশাবাদী।
দেশ ছাড়ার আগে সোমবার মিরপুরে তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের এবারের দলটা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। অনেক তরুণী প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া হয়েছে। এর সাথে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আছেন। আমি অনেক আশাবাদী এই দল নিয়ে। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়াপ্রার্থী। আমরা যেন সেখানে গিয়ে ভালো খেলতে পারি এবং অবশ্যই দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসতে পারি।’
এবারের বিশ্বকাপে ১০ দল নিয়ে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে বাংলাদেশ। টাইগ্রেসরা রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। এই গ্রুপের বাকি দলগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার বলছিলেন, ‘অনেকদিন আগে আমরা একটা ম্যাচ জিতেছি। আমার চতুর্থ আর অন্যদের হয়তো পঞ্চম বিশ্বকাপ। তো সবারই ইচ্ছে এবার যেন আমরা রেকর্ডটা ভেঙে ফেলি। আমার মোমেন্টাম যেটা অ্যাওয়েতে আছে, একটা মোমেন্টাম যদি ভালো পাই প্রথম ম্যাচে সেটা এগিয়ে নিতে পারলে ভালো। যাদের সঙ্গে এবার খেলা, গ্রুপ পর্বে দুই তিনটা ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা সম্ভব আমার মনে হয়। শুধু একটা মোমেন্টাম দরকার আমাদের।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই ১৪ ফেব্রুয়ারি ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল
নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, দিলারা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, শামিমা সুলতানা, রুমানা আহমেদ, লতা মণ্ডল, স্বর্ণা আক্তার, নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনি, দিশা বিশ্বাস, সোবহানা মুস্তারি।
স্ট্যান্ড বাই: রাবেয়া, সানজিদা আক্তার মেঘলা, ফারজানা হক, শারমিন আক্তার সুপ্তা।
Discussion about this post