তিনি যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের নাম সেটি নতুন করে বলে দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না! তিন ফরম্যাটেই দারুণ দাপট সাকিব আল হাসানের। আর বিশ্বকাপে তো আরও ভয়ঙ্কর। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা মনে রাখার মতো ছিল। বল হাতে ১১ উইকেট শিকারের সঙ্গে ব্যাটে তুলেছেন ৬০৬ রান। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন সাকিব।
ফের আসছে আরেকটি বিশ্বকাপ। এবার ফরম্যাটটা টি-টুয়েন্টি। অক্টোবরে শুরু সেই লড়াই। তার আগে প্রস্তুতিটা কেমন চলছে সাকিবের? সতীর্থদের কি পরামর্শ দিচ্ছেন এই তারকা ক্রিকেটার-এনিয়ে কথা বললেন। সতীর্থদের মন খুলে খেলার পরামর্শ দিলেন সাকিব।
একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রোববার রাতে সাকিব বলেন, ‘দেখুন, টি-টুয়েন্টিতে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব মুশকিল। সবগুলো দলের আসলে সমান সুযোগ থাকে। কোন ভুল করলে ফিরে আসার সময়টা খুব কম। টি-টোয়েন্টিতে বড় দল কিংবা ছোট দল বলে কিছু নেই। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে তাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যেন আমরা ধারাবাহিক ভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি চেষ্টা থাকবে। ভালো একটা টুর্নামেন্ট যেন শেষ করতে পারি। আমি আসলে এখনো কোন লক্ষ্য ঠিক করিনি। কিংবা করতেও চাই না। আমি চাই আমাদের দল মন খুলে খেলুক। যার যার জায়গা থেকে সবাই চেষ্টা করুক, তাহলে হয়তো দলগত জায়গা থেকে অনেক দূর যেতে পারবো।’
বিশ্বকাপে প্রথম পর্ব খেলে মূল আসরে জায়গা করে নিতে হবে টাইগারদের। প্রথম পর্বে ওমানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ড।
এর আগে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলেছেন সাকিব। কোথায় গিয়ে থামবেন তিনি? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘যত দিন আমার মন চাইবে। এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।‘
দলে উঠে আসছে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার। তাদের নিয়ে সাকিব বলেন, ‘নতুন যারা এসেছে বয়স কম হলেও ওরা অনেক বেশি পরিপক্ক। অন্তত আমাদের চেয়ে পরিপক্ক। বিপিএল খেলার কারণে অনেক চাপ নিয়ে অভ্যস্ত। এই কারণে যখন ওরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামে, ওই চাপ নিয়ে অভ্যস্ত থাকে। সবাই অনেক প্রতিভাবান। সবার মধ্যেই সম্ভাবনা আছে অনেক ভালো করার। আমি দুই একজনের নাম নিতে চাই না। যারা দলে সুযোগ পেয়েছে, তারা যোগ্য বলেই সুযোগ পেয়েছে। প্রতিভাবান বলেই তারা দলে আসছে। অনেক ভালো কিছু করার সবারই সম্ভাবনা আছে।’
Discussion about this post