আরও একবার ব্যস্ত হয়ে উঠছে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টি-টুয়েন্টি লড়াই। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পরের চার ম্যাচ যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বিকাল ৪টা থেকে। এই ম্যাচের আগে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
৫ ম্যাচের এই সিরিজে কি বাংলাদেশ ফেভারিট?
আমি সব সময় বলি, টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটটাই এমন আপনি নিজেকে ফেভারিট ভাবতেও পারেন, আবার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে যান তাহলে আপনার জন্য নেতিবাচক হয়ে যায়। এই ফরম্যাটটা এমন নির্দিষ্ট কন্ডিশন, উইকেট বিশ্লেষণসহ ভালো ক্রিকেট খেলার উদ্দীপনা থাকা দরকরা। সেই জিনিসগুলো নিশ্চিত করতে পারলে আমরা ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো সুযোগ থাকবে। ওরা যে দলই নিয়ে এসেছে , ওরা ভালো দল। তারা খুব ডিসিপ্লিন দল, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। আমার মনে হয়, আমাদের প্রথম বল থেকেই আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলার যে মন মানসিকতা এবং ইতিবাচক মানসিকতা যেটা আমাদের অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই ছিল। যে ক্ষুধার্ত মনোভাব ছিলো, সেই জিনিসগুলো খেয়াল রেখে ম্যাচগুলো খেলা উচিত। যেহেতু আমার জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভালো খেলেছি, অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও ভালো খেলেছি ওটার কন্টিনিউ থাকা উচিত এবং ওভাবেই চিন্তা করা উচিত।
ওপেনার নিয়ে চিন্তা কি?
লিটন আমাদের আউটস্ট্যান্ডিং ওপেনার, সৌম্য দারুন ফর্মে আছে এই বছরে। নাঈম আমাদের দলের টপ ব্যাটসম্যান। শেখ মেহেদীও ওপেনিংয়ে ভালো অপশন ওপেনিংয়ে। এগুলো নিয়ে আমার খুব একটা চিন্তা নেই। তারা খুব বালো ছন্দে আছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যারা সুযোগ পায় তারা যেন দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করে। আমরা যেন ইতিবাচক মানসিকতা দেখাতে পারি। এই মুহুর্তে সবাই ফোকাস। এই মুহুর্তে যে জিনিসটা খুব ভালো আমাদের মধ্যে পজেটিভ কম্পিটিশন রয়েছে। সবাই এটা দারুণ ভাবে উপভোগ করছে।
বোলারদের প্রসঙ্গে…
শরিফুল চারটা ম্যাচেই ভালো বোলিং করেছে। মুস্তাফিজ আউটস্ট্যান্ডিং। তাসকিন দারুন বোলিং করেছে। রুবেল আছে। সাইফউদ্দিদন সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছে। আমদের মধ্যে দারুন প্রতিযোগিতা চলছে। ব্যাটিং-বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই উন্নতির সুযোগ আছে। আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো ভালো দিক, ভালো একটি দল হওয়ার ক্ষেত্রে। আমি সব সময় মনে করি, র্যাঙ্কিং অনেক সময় দলের অবস্থার পরিষ্কার ছবি দেখায় না। আপনি যদি ধারাবাহিক ভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেন, সেই খেরার ধারাবাহিকতা থাকলে নিশ্চিত ভাবেই আপনি এগুবেন।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা কবে?
মোটামুটি অল সেট। কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। নির্বাচকরা দ্রুত দল দিয়ে দেবে। সিরিজের আগে দলটা দিলে ভালো হতো। সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা নির্ভার থাকতো পারতো। তবে এটা আমাদের হাতে নেই। এই মুহুর্তে আমাদের কাজটা ক্রিকেট খেলা। মাঠে আমরা কতটা নিজেদের মেলে ধরতে পারি, সেই জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করাই আমাদের কাজ। আমরা সেটাতেই মনোযোগ দিতে চাই। আমাদের সামনে আরেকটি সিরিজ, চেষ্টা থাকবে সিরিজটি জেতার।
প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড কেমন দল?
এটা খুব ভালো সুযোগ দল হিসেবে। আমরা যেন আমাদের মানটা রাখতে পারি। আমরা সব সময় বলি ঘরের মাঠে আমরা খুব ভালো একটা দল। সেটা প্রমাণ করার আমাদের তাগিদ আছে। ইনআল্লাহ আমরা নেই চেষ্টাই করবো।
মিরপুরের উইকেট কেমন হবে?
উইকেট নিয়ে আমি সব সময় বলি যে উইকেট অনুমান করা কঠিন। আমার মনে হয় পজিটিভ ফ্রেম অফ মাইন্ডে যাওয়াটা ভালো। আমরা ভালো উইকেট প্রত্যাশা করব। সেভাবেই ম্যাচে যাব। পরে গিয়ে যেটা পাব সেভাবে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমার মনে হয় ওই মাইন্ডসেটটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আগে থেকে ঠিক করেন ১২০-১৩০ রানের উইকেট হবে তাহলে নেতিবাচক মানসিকতায় যাওয়া হয়। ইতিবাচক মানসিকতায় যাব যে এটা ভালো উইকেট হবে। ইনশাল্লাহ আমাদের ব্যাটিং শক্তি আছে। ঠিকমতো খেলতে পারলে আমরা ভালো স্কোর করব।’
প্রত্যাশার চাপ কেমন?
প্রত্যাশা সব সময়ই থাকবে। প্রত্যাশার জায়গা এভাবেই তৈরি হয়েছে। যখন আমরা হোম কন্ডিশনে খেলি যেকোনো দলের সঙ্গেই ভেরি মাস কম্পিটিটিভ। আমরা চেষ্টা করি আমাদের কন্ডিশন ইউজ করে নিজেদের পক্ষে ফলাফলটা আনতে পারি। আমি একটা জিনিসই মনে করি প্রতিটা সুযোগ ভেল্যু করা গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিভিজ্যুয়ালি এবং দল হিসেবেও। আমার মনে হয় যদি ভাবি প্রতিটা সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ওইভাবে চিন্তা করলে আমাদের জন্য ইজি হবে।
Discussion about this post